এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি নতুন বছরের নতুন কবিতা (প্রথম পর্ব)

এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি
নতুন বছরের নতুন কবিতা (প্রথম পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

1

আঁধার ভেদ করে সূর্যকিরণ বাংলার প্রতিটি গাঁয়ের মাটির ঘরের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাক। যাপিত জীবনের সারা বছরের যাবতীয় গ্লানি ও কালিমা ভুলে, আসুন রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর-১৪২৮ করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচতে আর অপরকে বাঁচাতে সতর্কতা অবলম্বন করে আমার -আপনার- সকলের পরিবারকে সুরক্ষিত করুন। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকুন, সবাইকে দূরে রাখুন। ভ্যাক্সিন নিন। অপরকে ভ্যাক্সিন নিতে উত্সাহিত করুন। নিজে বাঁচুন, অপরকে বাঁচান। সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ রাখুন।

আজ থেকে শত বর্ষ আগে….
আজকের বৃক্ষ-ছায়াহীন, জলাশয়হীন, রুক্ষ দগ্ধ পয়লা বৈশাখের সঙ্গে একশো বছর আগেকার নতুন পাতায় ঝলমলে গাছপালা ভরা, পুকুরের জলে ঢেউ দিয়ে জল ছুঁইয়ে আসা পয়লা বৈশাখের বোধ হয় বেশ কিছুটা অমিল ছিল। পয়লা বৈশাখের অঙ্গে জড়ানো থাকত বেলফুল আর নিমফুলের মৃদু গন্ধ। ফলের সরবত।

পয়লা বৈশাখে বাঙালির সেই সুখস্মৃতি এখনও অনেকখানি বহন করে আসছে বছরের পর বছর ধরে। বাংলা কবিতার আসরের সকল কবি ও পাঠকগণকে জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি আর শুভেচ্ছা। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

2

এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি
নতুন বছরের নতুন কবিতা (প্রথম পর্ব)

কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বর্ষশেষে নববর্ষ হাসি গান খুশি হর্ষ
নবরূপে আসিল ধরায়,
ফুলবনে ফুল ফুটে পূর্বদিকে রবি উঠে
বসুধায় কিরণ ছড়ায়।

নববর্ষে নব আশা সুখ শান্তি ভালবাসা
দিন শুভ হোক সবাকার,
হিংসা দ্বেষ দূরে যাক এসো নতুন বৈশাখ
আজি হোক দৃঢ় অঙ্গীকার।

করোনারে দূরে রাখো মাস্কে নিজ মুখ ঢাকো
হবে না করোনা সংক্রমণ,
করোনার বিধি মানো নতুন সকাল আনো
এই হোক সবাকার পণ।

আজি হাতে হাত রেখে নতুন পরাগ মেখে
পয়লা বৈশাখ দিল ডাক,
দূরত্ব বজায় রেখে মাস্কে মুখ রাখো ঢেকে
বলো করোনা নিপাত যাক।

নতুন বছর আসে করোনার বিষ নাশে
সূর্য দেয় নতুন আলোক,
নতুন প্রভাত জাগে পৃথিবী নতুন লাগে
নতুন বছর শুরু হোক।

3

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “এসো হে শুভ নববর্ষ-১৪২৮ …. আনো সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি নতুন বছরের নতুন কবিতা (প্রথম পর্ব)

  1. নববর্ষে নব আশা সুখ শান্তি ভালবাসা
    দিন শুভ হোক সবাকার,
    হিংসা দ্বেষ দূরে যাক এসো নতুন বৈশাখ
    আজি হোক দৃঢ় অঙ্গীকার। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।