১-
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বনভূমি থেকে সদ্য জন্ম নেয়া নানান রঙ্গের উদ্ভিদ দেখে আমার মনে পড়ে যায় মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনের একটি বিখ্যাত আয়াতের কথা, “মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করবো।” বিষয়টা ভিন্ন হলেও একই রকম ঘটনা, কি আশ্চর্য! কি সুন্দর বনভূমি! অতঃপর ছাই হয়ে যাওয়া সেই ভুমি থেকেই নতুন করে উদ্ভিদ জন্মাচ্ছে।
২-
জুম্মন সাহেবের একটি কথা আমাকে প্রায়ই ভাবায়। তিনি বলেছিলেন,
“ঢাবি ছাত্রী যখন ধর্ষনের স্বীকার, আমি তখন নির্বিকার। মননে কোন প্রতিক্রিয়া জন্ম নেয় নি। কারন আমি অভ্যস্ত। আসলে আমি একজন বোকা মানুষ। আমি যদি জ্ঞানী হতাম তবে আমি প্রতিক্রিয়া জানাতাম। প্রতিবাদ করতাম। খোলা হাত মুষ্টিবদ্ধ করতাম।” ভেবে দেখলাম আমার সাথে তার কত মিল!
৩-
শীতের বরফ কঠিন আবহাওয়ায় অনুচিন্তনে জড়তা ধরে গেছে। তাই শীতার্ত পথিকের ন্যায় কিছুটা উষ্ণতা আমারও চাই জড়তা কাটিয়ে উঠবার জন্য। মানুষকে তো বোঝাতে হবে আমি কে? আমার উদ্দেশ্য কি?
৪-
আমি শিখতে চাই শেখাতে চাই। যারা মনে মনে ভাবে, “শিখেছি নিজের জন্য অন্যকে শেখাতে নয়।” এরা শিক্ষার সংজ্ঞা জানে না।
৫-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা ঠিক তখনই মনে পড়ে যখন সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টা অতিক্রম করে যাই।
৬-
মুক্তমন হলো কোন একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা আর না করার মাঝামাঝি অবস্থানকে বোঝায়। এখানে একজন মানুষ শুধু ভাবতে পারে। অতঃপর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে মানুষ তার প্রকৃত অবস্থান জানান দেয় অন্যদের নিকটে।
৭-
একটি কুকুর তার প্রভুর নির্দেশ মানতে দ্বিধাবোধ করে না। কিন্তু মানুষ করে।কারণ মানুষের অকৃতজ্ঞ।
৮-
জনজীবনে এতো অবজ্ঞা আর অবহেলা কেন?
মানুষ কি ভুলে গেছে তার গন্তব্যে সাড়ে তিন হাত মাটি?
৯-
স্বপ্নের সৈকত জুড়ে অপেক্ষার প্রহর যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। ক্ষণ গণনা করতে করতে আমি ক্লান্ত শ্রান্ত একজন মুসাফির। বন্ধু, ভালো লাগে না আমাকে নাকি আমার পরীক্ষা নিতে চাও? তবে করো তুমি পরীক্ষা আমি নিরাশ করবো না। কারন আমার ভালোবাসা মিথ্যে নয়।
১০-
কেউ যখন ভুল করে তাকে অবহেলা না করে তার ভুল সংশোধন করে দেয়া উচিৎ। কারণ মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।
১১-
আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা কাজী নজরুল হতে চাই না আমি হতে চাই মুহ’ম্মদ (সঃ) এর আদর্শ শিষ্য।
১২-
ঘৃণা দিয়ে ঘৃণা জয় করা সম্ভব আর ভালোবাসা দিয়ে যে কারও মন জয় করা সম্ভব। পার্থক্য কেবল সময়ের। মন জয় করা যেনতেন ব্যাপার নয়। প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
১৩-
আমি কখনও বিভ্রান্ত হই না। আমি রহস্য উদঘাটন করার উপায় খুঁজি। আমি পেয়ে যাই মোটেও কষ্ট হয় না। কারন রব আমার সাথেই থাকেন।
১৪-
মানুষকে চেনা কঠিন কিছু না৷কৌশলে তার মনের ভেতর ঢুকতে পারলেই হয়। তার ভালো-লাগা মন্দ লাগা, লুকিয়ে থাকা সত্য-মিথ্যা এসব বোঝা মুহূর্তের ব্যাপার।
১৫-
এই শীতে নীহার শান্ত বিকেলে খোলা আকাশের নীচে একাকী বসে থাকার মাঝে একগুচ্ছ গল্প করার মানুষ চাই।
১৬-
আমি নিজেকে অতি তুচ্ছ একজন মানুষ ভাবি।হাসি-ঠাট্টার ভীড়ে মানুষ যখন খাটো করে তখন আর গায়ে লাগে না।আমার মাঝে রোষানলের প্রবনতা এক্কেবারেই নেই।রবের নিকট কৃতজ্ঞতা।
১৭-
জীবনে কিছু কিছু অপরাধ সহ্য করতে হয়, কিছু কিছু মিথ্যা আড়াল করতে হয় আর কিছু কিছু হারিয়ে যাওয়া ব্যাপার ভুলে থাকতে হয়।
১৮-
একজন মানুষকে পাওয়ার প্রবনতা দমিয়ে রাখা উচিৎ কিছু কাল কিংবা কিছু মুহূর্তের জন্য।রবের দয়ায় সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
১৯-
কারও মন জয় করা, কারও হৃদয় আহত করা এদুটোকে সামনে রেখেই আমাদের পথ চলতে হয়।
২০-
প্রতিভা অন্যের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্য স্রেফ খ্যাতি কুড়ানো।তবে তারা নয় যারা সত্যিকার অর্থেই চায় বাকীরাও যেন নিজেদের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করুক।এরা অনেকটা নিরহংকারী ধরনের হয়।
২১-
পড়াশোনা না জানা লোকজন কিংবা কম জানা লোকজন মানুষকে ছোট করার মধ্য দিয়ে এক ধরনের পৈচাশিক আনন্দ পায়।এরা কখনও মানসিকভাবে সুখী হয় না।
২২-
আমাকে সহ্য করতে পারেন না এমন লোকের অভাব নেই।আমি ভুল করি।আমি তো মানুষ।ভুল ধরিয়ে না দিলে সংশোধনের আগ্রহও যে জন্মাবে না আমার!
২৩-
আমার কারণে কেউ বিরক্ত হলে দোষটা নিজের কাঁধেই চাপাই।তখন নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধী মনে হয়।ইশ!আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।
২৪-
একটা বন্য কুকুর একটি সিংহকে উপদেশ দিলো,একজন ভালো শিকারী হতে চাইলে তোমাকে হতে হবে কৌশলী।সিংহটা বললো, আজ কি দিয়ে নাস্তা করেছো? বুক ফুলিয়ে কুকুর বললো, মহিষের মাংস।সিংহ বললো, বেশ তো!কুকুর সিংহকে প্রশ্ন করলো তুমি কি দিয়ে নাস্তা করেছো? সিংহ উত্তরে বললো,
তুমি যে মহিষের মাংস দিয়ে নাশতা করেছো গতকাল আমিই সেটা শিকার করেছিলাম।এখন আমার ক্ষুধা নেই।
২৫-
মানুষ যখন কন্ঠ নামিয়ে কথা বলে আমি স্থান ত্যাগ করি।এর কারন আমি নিজেই।
২৬-
বিপরীত স্বভাবের কাউকে ভালো লাগলে দূর থেকেই ভালোবাসা উচিৎ। কাছে আসলে দূরের চলে যাওয়ার ভয় থাকে।আর এই জন্যই ভালোবাসার এতো কদর।
২৭-
এক সময় বাসা ছাড়া কিছু বুঝতাম না।মা বলতো বাহিরে যা।বাবা বলতো বাহিরে যা।আমি চুপ করে থাকতাম কিন্তু অনুভব করতাম না।এখন বাহিরে এসে বুঝলাম আমি অন্যদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে।
২৮-
একজন মানুষ যখন আনন্দ পায় তাকে আরও আনন্দ দিতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে মানুষটা যেন সর্বদা হাসি-খুশী থাকে।কিন্তু কাউকে একবার আঘাত করলে দ্বিতীবার ইচ্ছে করে না।আপন কষ্ট অনুভবে যন্ত্রনার কিন্তু মানুষের কষ্ট সহ্য করা দুর্বিষহ।
২৯-
ভাব বলতে কিছু নেই আমার ভিতর। যারা ভাব নেয় তারা সবসময় ছোট মনের পরিচয় দেয় নিজেদের অজান্তেই।
৩০-
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানেই একটি অসুখকর জীবন।প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হয়।আর আমি এটা থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছি সেই শুরু থেকেই।ইশ! কি যে হবে আমার!
৩১-
ভালো লাগে মানুষকে ভালো পরামর্শ দিতে।মন্দ পরামর্শে কারও ক্ষতি হলে
তার দায় নিজেকেই নিতে হয়।
৩২-
“এক থাপ্পড়ে গালের দাত সব ফেলে দিব।তুই এক্ষুনি আমাকে ডিভোর্স দিবি নয়তো নারী নির্যাতন মামলায় খাচায় ভরে দিবো।তুই চিনিস না আমাকে”।
পাশের বাসা থেকে এমন উচ্চবাচ্য প্রায়ই শোনা যায়।খোজ নিয়ে জানতে পারলাম, যাকে ডিভোর্স দিতে বলা হচ্ছে তিনি হলেন,আমার কলিগ জুম্মন সাহেব। বুঝতে পারলাম বিগত কয়েকদিন যাবত কেন তিনি মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছিলেন। কষ্ট হয় বেচারার জন্য।
৩৩-
এই যে হ্যা,আমি জানি আপনি আমার ডায়েরি পড়েন।মনে রাখবেন ডায়েরির কথাগুলো আপনার অনেক কাজে দিবে।
৩৪-
আমি বড্ড অগোছালো একজন মানুষ।শুনেছি সব মেয়েরাই একজন অগোছালো মানুষ চায় যাকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নিবে।এমন কেউ কি আছেন?তবে হাত তুলুন।
৩৫-
ঝামেলামুক্ত নিরাপদ একটি শহর চাই।যেখানে বিরাজ করবে মনুষ্যত্ব।সত্যি বলতে এই শহরে থাকতে থাকতে আমি এক প্রকার বিরক্ত!
৩৬-
যেখানেই থাকো না কেন,আকাশ এখন অন্ধকার!
৩৭-
রাগ হয় খুবই রাগ হয় যখন কেউ বলে আর কেউ চুপচাপ থাকে।মনে হয় যেন একজন ব্যক্তি কথা বলছে একজন বাক-প্রতিবন্ধীর সঙ্গে।মানুষের বোঝা উচিৎ নীরবতা কখনও কখনও অবজ্ঞার কারনও বোঝায়।
৩৮-
নিঃসঙ্গ চলাটা আমার কাছে অত্যন্ত সুখকর ব্যাপার।আযানের আহ্বানে এক দৌড়ে মসজিদে ছুটে যেতে পারি। আলহা’মদুলিল্লাহ।
৩৯-
আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি!কিন্তু কখনও তাকে বলা হয় নি।আদৌ বলা হয়ে উঠবে কিনা সে বিষয়ে ঢের সন্দেহ রয়েছে।কারন আমি একজন অভাবি মানুষ।নিজের চলতেই কষ্ট হয়ে যায় আর সেখানে আরও একজনকে চালানোর কথা নিয়ে তো প্রশ্নই নেই। আসলে আবেগ দিয়ে কি আর সবকিছু করা যায়? আবেগ আর বাস্তবতা উভয়ের সাথে তাল মিলিয়েই চলতে হয় এই ভুবনে।আমি একজন বাস্তবমুখী মানুষ।তাই আমার ধৈর্যও অনেক।
৪০-
কিছু কিছু মেয়ে আছে নিজেদের বয়সের তুলনায় মাস ছয়েক ছোট এমন ছেলেদের শিশুর মতোই ভাবে৷এরা অহংবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
৪১-
আমি ক্যারিয়ারের চিন্তায় মগ্ন আর আমার বন্ধুবান্ধব একেকজন বিয়ের চিন্তায় মসগুল।চিন্তা নেই – তারা প্রত্যেকেই কর্মজীবি।
৪২-
আচ্ছা, বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার ভাবনা কি?
৪৩-
কুকুরের বাচ্চা যতই ঘেউ ঘেউ চিৎকার চেচামেচি করুক বাঘের কাছে সর্বদাই বিধ্বস্ত হয়ে যায়!
৪৪-
হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন,
“ভালো লাগা এমন একটি ব্যাপার যা একবার শুরু হলে সবকিছুতেই ভালো লাগতে থাকে”।সত্যি বলতে, ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই কথাটার সাথে একমত না।ধরুন, একজনকে খুব ভালো লাগে আপনার কাছে; তারপর দেখলেন আপনার ভালো লাগার মানুষটা মদ-গাঁজা সেবন করে তখন বিকারগস্ত মানুষ বাদে কার কাছেই বা ব্যাপারটা ভালো লাগবে?
৪৫-
হে আমার রব!
আমি তো তোমারই জন্য আর তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।তুমি ছাড়া এই জীবনে আমি কারও প্রতি ভরসা পাই না।তাই তোমার প্রতি ভরসা রেখেই আমি লোকেদের ভীড়ে মিলিয়ে যাই।
৪৬-
আপনি এমনিতেই সুন্দর!
এতো রঙ্গ-ঢং করার কোন মানে হয় না।আমি চাই আপনি মনের অবস্থান থেকে সুন্দর হয়ে উঠুন।তাহলে সর্বত্রই প্রশংসার পাত্র হবেন।কারন যার মন সুন্দর হয় তার মুখ নিঃসৃত কথা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায় আমার বিশ্বাস।
৪৭-
ঔ বেটা,
*** *** এভাবেই একজন মহিলা অপর একজনকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করছিলেন।আর আমি রাস্তার পাশে জিলাপির দোকানের সামনে দাড়িয়ে জিলাপি খাচ্ছিলাম আর শুনছিলাম তাদের উচ্চবাচ্য।খারাপ লাগলো।বুঝতে পারলাম লজ্জাসংকোচ বলতে কিছু নেই তাদের ভিতর।আহারে, মানুষ!
৪৮-
একবার এক বান্ধবীকে বলেছিলাম, “বন্ধু, পর্দা করিস না কেন”? প্রতি উত্তরে সে আমাকে বললো, ” তোরে কি এবার খাস বাংলায় গালি দিমু”?
ভাভা গো ভাভা!সে কি ভয়ংকর উত্তর দিলো আমাকে।আমি তারপর কোন দিন তাকে পর্দা করার কথা বলি নাই।আমি চাই না কেউ আমার কারনে পাপের বোঝা বহন করুক।
৪৯-
ভাবছি ডাবের ব্যাবসা করবো।ভ্যান গাড়িটা ঠিক সেখানেই রাখবো যে রাস্তা আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। রোজ বিকেলে আপনি আমার সামনে দিয়ে হেটে যাবেন আর আমি সেই সুযোগে বলবো, “আফা,ডাবের পানি খাইয়া যান।মনডা হালকা হইয়া যাইবো”।
৫০-
ভালো লাগে পড়তে, লিখতে পর্যবেক্ষন আর মন্তব্য করতে।আপনার কি ভালো লাগে?
৫১-
জুম্মন সাহেব আমাকে প্রশ্ন করলেন,
গার্লফ্রেন্ড দিয়ে কি হবে?
আমি উত্তরে বললাম,ভালো লাগবে খুব।তিনি প্রতিবাদী কন্ঠে বলেন, তুমি যে উদ্দেশ্যে বলছো ভালো লাগবে ঔটা হলো আবেগ।ঔটাই মোহ।আমি চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম।তিনি বললেন, ভয়ের কারণ নেই তুমি গার্লফ্রেন্ড বানাও তবে সে যেন আল্লাহ ভীত হয়,নেককার হয়।জানোই তো নেককার স্বামী-স্ত্রী জান্নাতে একই সাথে থাকবে।বিস্ময়ের সাথে বললাম, কিন্তু আজকাল তেমন মানুষজন খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টের!জুম্মন সাহেব বলেন, আরে বোকা ভালো কিছু অর্জন করতে হলে কষ্ট তো করতেই হবে আর কষ্টের পরেই রয়েছে স্বস্তি।
আমি যেন প্রান ফিরে পেলাম!
৫২-
মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ একজন আমাকে দূর থেকে অনুসরণ করেন।আমি দেখি না কিন্তু সে আমাকে ঠিকই দেখে।আমার ভাবতে খুব ইচ্ছে করে,বোকাদের প্রতিও বুঝি মানুষের ভালো লাগা জন্মায়! আচ্ছা, এটা কি করে সম্ভব?আমি আনমনে হাসি নীরবে নিরালায়…..
৫৩-
এক বুক আশা নিয়ে রাতভর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলাম।কিন্তু সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র একঘন্টা সময় বাকী আছে।তাড়াহুড়ো করে হল রুমে গিয়ে পৌছালাম।ম্যাডাম বললেন,আপনি এক ঘন্টা পাঁচ মিনিট দেরী করেছেন; দুঃখিত আমি রুলসের বাহিরে যেতে পারবো না।আপনি সাপ্লি দিন।অসহায় পথিকের ন্যায় আমি কন্ট্রোলার স্যারের কাছে গেলাম।তারও ভাষ্য একই ছিলো।আমি কথা না বাড়িয়ে সোজা বাসায় যাত্রা করলাম আর পথিমধ্যে আনমনে ভাবতে থাকলাম,এক হাজার টাকার জন্য কর্তৃপক্ষ আমাকে এলাও করলো না।আহারে…
৫৪-
অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে হাসি মুখে কথা বলা উচিৎ। তারা স্বস্তি পায়।ইশ!মানুষ যদি বুঝতো।
৫৫-
হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎই চলে যায়।আপনি জানেন না, আমি জানি।
৫৬-
মানুষ সর্বদাই জিততে চায়।আমি তাদের কাছে সর্বদাই হেরে যাই তাদের ভাবনার বলে।
৫৭-
যদি দূরে যেতে চাও যাও,
আমি পথ হয়ে সাথে রবো। সূর্যের তীব্র উত্তাপে পোড়াবই উষ্ণ নীহারে….
৫৮-
আমি অহংকার কম করি।আসলে করি না বললেই চলে।ভালো লাগে মানুষের সঙ্গ দিতে।হোক সে যে কেউই।
_মাহমুদুর রহমান
চমৎকার সৃষ্টি, পাঠে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
জেনে আনন্দিত হলাম।
জনজীবনে এতো অবজ্ঞা আর অবহেলা কেন?
মানুষ কি ভুলে গেছে তার গন্তব্যে সাড়ে তিন হাত মাটি?
যেদিকেই চোখ জুড়াই মানুষ আর মানুষের মত নাই।