দিন শেষে এ শহরও কি একা?

একাকিত্ব থেকে পালিয়ে বেড়ানো কতোটুকু সম্ভব? একটা বয়সে নিজেকে একাকিত্বের সাথে লেপটে নেওয়াটা বাদ্ধতামূলয়ক হয়ে উঠে। এই বাদ্ধতার সথে শুরু হয় তখন লড়াই। ইতিমধ্যে জীবন তখন বেশ খানেক যুদ্ধের বিজয়ী তো কয়েক খানেকের সাথে লড়াইরতো বাসনাময়ী সৈনিক। কারণ মাখানো আমাদের জীবনটা শুধু একটু হাসির সন্ধান করে। প্রশ্ন হলো আপনাকে হাসানো কি খুব কঠিন? না, তবে যে কারো দ্বারা সম্ভব নয় আপনার মনটাকে হাসানো।

যখন আপনার মন তার কাঙ্ক্ষিত বিষয় থেকে বঞ্চিত হয় ঠিক তখন থেকেই মনকে সুযোগ করে দিলেন সেই বিষয়টা নিয়ে নিরত থাকার। এখানে মনটা এতোটা ব্যস্ত হয়ে পরে যে আপনাকে ঘেরা মানুষগুলো আপনার চোখে সাক্ষাৎ বিরক্ত রূপ ধারণ করে। চোখ লজ্জায় মানুষ গুলোকে বলাও যায় না,” আমাকে একটু একা থাকতে দাও”। বয়সটা যখন আপনার কবলে, অধিকারটা তখন বড্ড অভাবী। আবার এই বয়সই সময়ের খেলায় আটকে পড়ে বলতে বাধ্য হয়,” আমাকে একা রেখো না”।

যে শহরটা দিনের আলোয় আপনার চোখে জনবহুল সে শহরটাও কিন্তু দিন শেষে একাকিত্বের বিরহ আঁকে। এ বিরহ আপনার চোখের আড়াল আর তাই বলে এ বিরহ তার একার। তাই বলে কি এ বিরহ সে নিজের মধ্যে বেড়ে উঠতে দিবে? নাকি একটা নতুন আশা বুনবে! একটা সুন্দর আশা যার মধ্যে থাকবে আধার অভিভূত করতে পারার আকাঙ্ক্ষা, একটা আলোময় নতুন দিন ফিরে পাবার স্বপ্ন। আর তাই হয়তো প্রতিটা দিন এই শহর গুলো দিন শেষে একাই লড়াই করে যার সত্তগাতে সে ফিরে পায় আবার সঙ্গতা।

নিজেকে কিছুটা মেনে নেওয়ার শক্তি সম্পূর্ণ করে নিতে সমস্যা কি? আপনি যত এই শক্তি দ্বারা নিজেকে আসক্ত করে নিতে পারবেন ততো বেশি এই একাকিত্বকে বিদায় জানাতে পারবেন। এটা কোনো শারীরিক শক্তি নয় যে বয়স ক্রমে হারিয়ে যেতে থাকবে। বরং বয়স বর্ধনের সাথে সাথে আপনি নিজেকে এতোটা বেশি এ শক্তি দ্বারা গুছিয়ে নিতে পারবেন। তখন এই গুছানো জীবন আপনাকে পেছনে তাকাতে দিবে না। আর যদি পেছনে তাকাতেও হয় তখন আপনি আর জীবন মিলে একটা অট্ট হাসি হাসতে সক্ষম হবেন।

নিজেকে একাকিত্বের কোলে তুলে দেওয়ার মাঝে সব থেকে বড় হাতটি থাকে আপনার। একাকিত্বকে ভালোবাসলে জীবনকে ঘৃণা করা শুরু হয়। একাকিত্ব কখনো নিজেকে পুনরুদ্ধারের পথ হতে পারে না। এটি শুধু নিজেকে হারিয়ে ফেলার একটি মাধ্যম। হারিয়ে ফেলা বিষয় কখনো ফিরে পাওয়া যাবে নাকি না তার কখনো নিশ্চয়তা থাকে না। একাকিত্বের সাথে প্রণয় না ঘটিয়ে জীবনের সাথে ভালোবাসা গড়াটা কি বেশি উত্তম নয়?

0B8C4
PC credit: Jon Anders Wiken – stock.adobe.com
Copyright: ©Jon Anders Wiken – stock.adobe.com

10 thoughts on “দিন শেষে এ শহরও কি একা?

  1. আমি আশাবাদী এই ব্লগটি কারো চেতনা প্রহত করবে না। ধন্যবাদ☺️

    1. শব্দনীড় আপনার মুক্তমত প্রকাশে নিশ্চয়ই স্বাগত জানাবে। এগিয়ে চলুন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

  2. ম্যাডাম আপনার লিখা অনেক উন্নত আর অনেক তথ্য পূর্ণ। ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে লিখাটা উপস্থাপনা করার জন্য। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. আমি ধন্যবাদ জানিচ্ছি লিখাটি পরার জন্য। পরের লিখাটি পরার অনুরোধ রইলো জামাই :) 

  3. "একাকিত্ব কখনো নিজেকে পুনরুদ্ধারের পথ হতে পারে না। এটি শুধু নিজেকে হারিয়ে ফেলার একটি মাধ্যম।"

    _____ জীবন নির্ভর আলোচনাটি এককথায় অনবদ্য ভাবে রচিত হয়েছে। আপনার জন্য একরাশ শুভেচ্ছা রইলো। পাশাপাশি শব্দনীড়ে স্বাগতম জানালাম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি লিখাটি পরার জন্য। দোয়া কামনা করচ্ছি:) 

  4. বৃদ্ধলোক লোক ছাড়া যারা একাকিত্ব বেচে নেয় তারা মানসিক রোগী মনে হয়

    1. আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি লিখাটি পরার জন্য। হ্যাঁ কথাটি সত্যি, আমার মতে শুধু মাত্র আমাদেরই আছে পরিবর্তন করার ক্ষমতা:) 

    1. মানুষ কিন্তু মৃত্যুর পরও একা নয়☺️। বিষয়টা নির্ভর করে আপনি একজনকে কতোটুকু আপন করে নিতে পারলেন।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।