তারুণ্য বা যৌবন ধরে রাখতে কে না চায়। নারী-পুরুষ সবাই নিজের সৌন্দর্য ও স্মার্টনেস ধরে রাখতে চেষ্টা করেন। বিশেষ করে নারীরা এ বিষয়ে বেশি আগ্রহী। চাইলেই কী হবে? বয়স বাড়ে আপন গতিতে। সময়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিজেকে তরুণ দেখানোর জন্য কত ধরনের চেষ্টা না মানুষ করে চলেছেন যুগ যুগ ধরে।
কেউ কেউ জিম সেন্টার বা স্লিম পয়েন্টে দৌড়াচ্ছেন। কেউবা আবার ডাক্তারের পিছু পিছু ছুটছেন। কেউ সফল হচ্ছেন। কেউ হরদম চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যারা মন থেকেই তারুণ্য ধরে রাখতে চান তাদের জন্য কিছু পরামর্শ : এ প্রসঙ্গে ডায়েটিশিয়ান সেলিনা বদরুদ্দিন বলেন, তারুণ্য ধরে রাখা সহজ নয়। তবে অসাধ্যও নয়। তারুণ্য ধরে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং খাবার তালিকায় নিচের খাবারগুলো যোগ করুন।
১. মাছ, ওমেগা-৩ ফ্যাট আর আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি করে মাছ খায় তারা দীর্ঘজীবন পান। এ ছাড়া তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে।
২. জলপাই তেলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল যা বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাই তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। এ ছাড়া জলপাই তেলে থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ করে।
৩. দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। এ ছাড়া দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমের জন্য ভালো। ব্যাকটেরিয়া বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। দইয়ের গুণের কথা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ত্বকে দই মাখালে ব্রণের উপদ্রব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিয়মিত দই মাখলে ত্বক কোমল থাকে, অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ভাব, রোদে পোড়া ভাব ও শুষ্ক ভাব দূর হয়। এ ছাড়া দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মরা চামড়া দূর করে।
৪. কোকো দিয়ে তৈরি ডার্ক চকলেটে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাটেচিন, এটেচিন ও প্রোসাইনিডিনের মতো পলিফেনল। এ সব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত প্রবাহ সচল রাখে।
৫. বাদামে আছে অসম্পৃক্ত চর্বি, প্রচুর ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া, বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. বয়স ধরে রাখার একটি সেরা অস্ত্র হল টমেটো। টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। লাইকোপেন কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। লাইকোপেন প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের শুষ্ক ও কুঁচকানো ভাব দূর করে ত্বককে রাখে সতেজ।
৭. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, বেশি পরিমাণ পানি পান তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নিজের প্রতি আস্তা রাখুন, সব সময় পজেটিভ ধারণা পোষণ করুন। জীবনের সব ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি মেনে চললে সুখ ও সৌন্দর্য আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সূত্রঃ যুগান্তর
আমাদের দেশে খুব সহজেই যা পাওয়া যায় যেমন টমেটো, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ (ইনক্লুডিং ইলিশ মাছ), নানান শাকসবজি যারপরনাই উপকারী যা আপনি আপনার লেখাতেও উল্লেখ করেছেন। এছাড়া কালিজিরা, সম্ভব হলে অভ্যাসের তালিকায় বিট, এলোভেরা, মাঝে মধ্যে ডালিম/আনার এবং খুঁজে পেলে এভোক্যাডা শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে দারুণ অবদান রাখতে পারে।
বিপরীতে খাদ্য তালিকা থেকে ভাতের অংশ কমিয়ে দিলে বেশ কিছু রোগের (বিশেষ করে কারডিয়াক এইলমেন্ট) ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা যেতে পারে।
খুব দামি পোস্ট খালিদ ভাই।
সমুদ্রের মাছতো দূরের কথা অনেকেই পুকুরের মাছ দেখেও নাক সিটকায়, কি আশ্চর্য! হায়রে বাঙ্গালি নিজের স্বাস্থ সম্পর্কে কি একটুও খেয়াল রাখতে হবে না? এক মুঠ ভাত না হইলে চলেনা, চলবেনা এতে মরে যাই তাও ভাল।
Well comments Mr. After lunch Dessert.
তারুণ্য ধরে রাখা সহজ নয়। তবে অসাধ্যও নয়। তারুণ্য ধরে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি এবং খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করতে হবে।
নইলে যে লাউ সেই কদু। ব্যাটারী খতম।
ব্যাটারি খতম, দম ফুড়াইলে ফুস!
পরামর্শ গুলোন ঘরের উনি মানলেই চলবে খালিদ দা।
বুঝলাম, উনি জানে কিন্তু মানেনা! ছাত্র ভাল কাজেই বুঝাইলেই বুঝবে।
হাহাহাহা। একদম মনের কথা বলে দিয়েচেন।
* আজ থেকে নেমে পড়লাম সুপ্রিয়…


শুরু করে দেন ভাই।
মনে থাকলো খালিদ ভাই । চিরজীবন তরুণ থাকতে চাই । এর জন্য জীবন দিতেও রাজি 😀

আমারও সেই কথা যতদিন বাচব যেন শাহানশাহ্র সাথে ক্রিকেট খেলে যেতে পারি।