৬৩।
রাশেদ সাহেব উপরে এসে যোহর আসর দুই ওয়াক্তের নামাজ পড়েই বিছানায় গড়িয়ে পরলেন। ক্লান্ত লাগছে। বিছানার সামনে দেয়াল ঘড়িতে দেখলেন তিনটা দশ। কখন যে চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে, ঘুম ভাঙল নুরুল ইসলামের ডাকে।
-কি ভাই সাহেব ইফতার করবেন না? উঠেন উঠেন সময় নাই।
লাফ দিয়ে উঠে বাথরুম থেকে ওযু করে নিচে গিয়ে দেখে ইফতারের আয়োজন চলছে। আসাদ বললো-
-ভাই আপনি ওই ওখানে দেখেন গ্লাস আছে. ওই যে ওই বারের ভিতরে। ওখানে সিংক ও আছে ওখান থেকে কয়েক গ্লাস পানি আনেন।
গ্লাস ভরে আনতে যাবে আবার আসাদ বললো –
-আরে ওখানে ট্রে আছে তো! ট্রেতে করে আনেন।
-ওহ! হ্যাঁ হ্যাঁ দেখেছি।
ট্রেতে করে গ্লাস নিয়ে এসে সবার সামনে একটা একটা করে নামিয়ে রেখে নিজে বসল এক পাশে।
-রোজা আজ কয়টা যাচ্ছে?
-২৬টা।
-দেখতে দেখতে চলে গেলো।
রাশেদ সাহেব রোজার দিনে তার বাড়ির ইফতারের টেবিলে সবাইকে নিয়ে বসে এক সাথে রোজা সম্পর্কে কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় প্রসঙ্গে আলোচনা করতেন, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা দেবার জন্যে। তার কথা হলো ইফতার তৈরি করে অন্তত কিছুক্ষণ আগেই যেন সবাই ধীরে সুস্থে টেবিলে এসে বসে। ইফতারির সময় এত হুলুস্থুল করার কি দরকার? ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন আরও আট দশ মিনিট বাকি আছে। তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য করে রোজার শেষ কয়দিনের সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন। সবাই কথা থামিয়ে তার দিকে মনোযোগ দিয়ে শুনছে। বলা শেষ করে বললেন আসেন আমরা সবাই এবারে একটু মুনাজাত করি। মুনাজাত শেষ হবার সাথে সাথেই কবির বললো –
-টাইম হয়ে গেছে নিয়ত করেন।
আজকেও গতকালের মত খেজুর, ছোলা ভুনা আর পায়েসের মত দেখতে হলুদ রঙের স্বাদহীন খিচুরি। রাশেদ
সাহেব এই স্বাদ বিহীন খিচুরি খেতে পারলেন না।
মারুফ বললো –
-তাহলে ভাই সাহেব আপনে আর একটু ছোলা নেন।
-তা নেয়া যায়।
-যদি মনে করেন তাহলে ভাত খেয়ে নিতে পারেন তরকারি রেডি আছে।
-না ভাত লাগবে না এতেই হবে।
ইফতার করতে করতে নুরুল ইসলাম বললো –
-ভাই সাহেব খুব সুন্দর মুনাজাত করলেন। যে কয়দিন আছে এইভাবে করবেন। সবাই একসাথে বলে উঠলো হ্যাঁ হ্যাঁ আগে কিছু বলে নিবেন। আজকের মত ইফতারের সময় আর গল্প হবে না। কাল থেকে ভাইছাব মুনাজাত করবে।
-আচ্ছা, নামাজ কি সবাই আলাদা আলাদা পরেন?
-হ্যাঁ অই আরকি যে যেমনে পারে।
-তা কেন, উপরে বেশ জায়গা আছে ওখানে সবাই এক সাথে পড়া যায়। চলেন সবাই এক সাথেই পড়ি এমনিতেই আমরা অনেক কিছু জেনেও না জানার মত চলি। মানার মত ব্যবস্থা থাকলেও মানি না। কত কিছু ইচ্ছা করেই হোক বা অনিচ্ছা করেই হোক ছেড়ে দিই। জামাতে সওয়াব বেশি এটা যদি পারি তাহলে করবো না কেন?
-আচ্ছা চলেন তাহলে আপনে যখন বলছেন।
উপরে এসে নামাজ পড়ে রাশেদ বললো –
-আমার একটু চা লাগবে আমি নিচে যাই আপনারা কেও আসবেন?
-হ্যাঁ আসছি চলেন।
নতুন করে পড়ে যাচ্ছি দাদু ভাই…
শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানালাম … শুভ সন্ধ্যা
পড়েন পড়েন জাহাপনা, নতুন করে পড়েন সবাই পুরান ঘটনা।
উপন্যাসের পর্ব গুলোতে ঘটনা আর বর্ণনায় যেন অমিল নেই। ডায়েরির মতো।
ঘটনা এবং বর্ননায় মিল রাখা লেখকের প্রধান ধর্ম। ভারতের জি বাংলার সিরিয়ালের মত লিখতে পারলে সাত দিনে একটা উপন্যাস দিতে পারতাম। এই উপন্যাস লিখতে আমার ১০ বছর সময় লেগেছে, এক বছর এডিট করেছি তার পরে প্রেসে দিয়েছি আপা। শুধু মাত্র sequence maintain করার জন্য।
রাশেদ সাহেব এই স্বাদ বিহীন খিচুরি খেতে পারলেন না।
মারুফ বললো –
-তাহলে ভাই সাহেব আপনে আর একটু ছোলা নেন।
-তা নেয়া যায়।
ধন্যবাদ সুপ্রিয়, মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
ফ্যাক্ট মি. রাশেদ সাহেব। শুভ সন্ধ্যা প্রিয় বন্ধু।
হ্যা রাশেদ সাহেবের ঘটনাই ফ্যাক্ট।
এই খানে পড়লেই চলে না, কাহিনী মনেও রাখতে হয়।
মনে রাখতে না পারলে পড়ার অভিনয় করে কি হবে!
পড়েছি।
ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ।
আছি ভাই।
তাইতো এত ভাল লাগছে।
বেশ বেশ বেশ!!!
* আছি পাঠক হিসেবে…
ঠিক আছে পাঠক হিসেবে থাকলেই চলবে।