জোড়া শালিখ

ইটের শাখায় জোড়া শালিখ
মুখোমুখি বসা।
কিচির মিচির কত সুরে
চলছে স্বপ্ন কষা।
নতুন নীড় গড়বো কোথা
বলছে হেসে সখা।
লৌহ গরাদের এই শহরে
যায়না শ্যামল দেখা।
ডিশের শাখায় নেটের শাখায়
ছেয়েছে সারা শহর।
সবুজ শাখা হারিয়ে গেল
কেউ রাখেনা খবর।
বাসা বানাই বাতির খোপে
দুরু দুরু বুকে।
ফোরম্যানরা আসবে যখন
মারবে ধুকে ধুকে।
ভীরু গলায় বললো সখী
মনে ভরা দুখ।
সেদিন কি আর আসবে সখা
মিটবে মনের সুখ।
বুদ্ধিমানরা বুদ্ধি করে
ফন্দি এটেছে।
গাছ গাছালি কেটে সব
উজাড় করেছে।
ডাস্টবীনের এঁটো ঝুটায়
ফরমালিনের ঝাঁজ।
ক্ষেতের দানায় কীটনাশক
পড়েছে মাথায় বাজ।
ইতর প্রাণীর নেই যে দাম
তাদের বিচারে।
যুপকাষ্ঠের বলী তারা
বুদ্ধির অনাচারে।
ইতর প্রাণীর প্রাণ নাশও
তাদের ধংশের কারণ।
সময় থাকতে প্রাণে বাঁচাও
কর সংরক্ষন।
ঝড় বৃষ্টি খরাও তাদের
পিছু নিয়েছে।
ভূকম্পনের ভীতিও তাদের
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
পরিবেশের উপর যত আঘাত
সব মানবের গড়া।
ছাড় দেবেনা নিতে দাদন
প্রতিশোধ ছাড়া।

6 thoughts on “জোড়া শালিখ

  1. পরিবেশের উপর যত আঘাত
    সব মানবের গড়া।
    ছাড় দেবেনা নিতে দাদন
    প্রতিশোধ ছাড়া। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. সালাম ৬৫সালে সিদ্বেস্বরী স্কুলে পড়তাম শান্তিবাগে থাকতাম অনেক পথ পাড়ি দিতে হত রোজ আমাদের অনেকে মিলে দুষ্টামি করতে করতেই যেতাম পথে আমরা শালিখ দখলে একটা চিমটি দেনা বলতাম কারণ তখন বিশ্বাস করতাম এক শালিখে দুঃখ দুই শালিখে সুখ, এখন তেমন মনে হয়না যদিও তবে আগের কথা মনে পড়ে যায় মনে হয় যাই হোক আমাদের গেটের সামনে একটা ল্যাম্পপোস্টে টিউব লাইট জ্বলে,অনেক বছর থেকেই দেখতেছি শালিখ জোড়া টিউব লাইটের হোল্ডারে বাসা বানায় ছা ফুটায় আমি যখন ফজরের নামজের পর বারন্দায় হাটি তখন দেখি পাখিরা ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসে আবার যখন আসরের নামাজের পর হাটি তখনও দেখি পাখিরা ঘরে ফিরছে আমার প্রতিবেশি শালিকরা প্রথমে এসে বসে পাশোর গিজার ঘন্টি ঘরের উপর তার পর টিউব লাইটের বাসায়।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  2. অন্তমিলের ছন্দে লেখা ছড়াটি পড়লাম। বেশ কয়েক জায়গায় মনে হয়েছে ঠিক তালটি পাচ্ছি না।
    যেমন ….
    বুদ্ধিমানরা বুদ্ধি করে
    ফন্দি এটেছে।
    গাছ গাছালি কেটে সব
    উজাড় করেছে।

    আরও কয়েক জায়গায় আমার এমন মনে হয়েছে।
    ছন্দে লেখা অনেক কঠিন মনে হয় আমার কাছে। মাত্রা গুনতে হয়, শব্দ চয়ন করতে হয় মাধুর্যমন্ডিত ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক ঝামেলা! তবু নিজের অভিজ্ঞতা বলি, যখন দেখি মাত্রা সঠিক আছে, চয়িত শব্দগুলির সঠিক ব্যবহার হয়েছে, তখন সেই লেখাটি হয়ে উঠে শ্রুতিমধুর, আর তা বারবার আবৃতি করতে ইচ্ছা করে।

    অনেক কথা লিখলাম। এখানে কোন প্রকার উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করা হয়নি বরং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি মাত্র।
    ভাল থাকবেন। শুভ কামনা সব সময়।

    1. সালাম ,মালেক ভাই আপনার আগমনে ধন্য হোল আমার নীড়
      আমি জানি তা ,আমার দৌড় দেউড়ি পযন্ত ।
      আগেতো লিখেই ছিড়ে ফেলতাম কেউ দেখার আগে
      এখন কারো সামনা সামনি পড়তে হয়না তাই চোখ বন্ধ করে দিয়ে ফেলি ,ভাবি কেউ দেখে নাই।আসল কথাটা বলি..আমি একটা কিছু না দেখলে লিখতে পারিনা
      ঝাড় ফুক দিয়ে হলেও সব সময়য় কিছু ব্যবস্হাপত্র দিয়ে ধন্য করবেন ।
      শুভ কামনা সব সময়https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।