পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে গেলে
মা আমাদের শোনাতে আসতো বরফের গল্প
আমরা নাকি বালক বালক লাগি
অবশ্য তখনো আমাদের মুখে দাড়ি ওঠে নাই
কেবল গলার স্বরটা ভাঙছে মাত্র।
নদীতে নাইতে গেলেই মায়ের সাবধান বাণী
দেখিস খোকা! সাবধান! ডুবে যাবি
মা জানে আমি দুরন্ত সাঁতার জানি
ডুবে মরে যাবার বয়সটাও পেরিয়ে এসেছি অনেক আগে
দিকচিহ্ণহীন ধূসর পৃথিবীতে তবুও ভয় জাগে
কী রাত কী দিন।
মাকে হারিয়েছি সেই কবে!
এখন বন্ধনহীন এই আমি দিব্যি চলছি-ফিরছি
মায়ের কথা মনে হলেই শীতের মতো চুপসে যাই
তখন আমার মাথায় তিনশত পয়ষট্টি ডিজিটের
একটা ক্যালকুলেটরের হিসেব আসে
যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ শেষে ফলাফল হিসেবে যা পাই
দেখি শুধু মা আর মা, এই তিনশত পয়ষট্টি দিনই যে আমায়
আগলে রাখতেন, তাকে ছাড়া এখন কেমন দিব্যি বেঁচে আছি!
ভাবতেই গায়ের রোম শিউরে ওঠে
মন খারাপের একখন্ড কালো মেঘ ঘিরে ধরে সারাবেলা।
পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ স্বজন যদি কেউ থেকে থাকেন তিনি হচ্ছেনমা।
মা নিয়ে এই ধারাবাহিকের লিখাটি অসাধারণ প্রিয় কবি।
মাকে হারিয়েছি সেই কবে!
এখন বন্ধনহীন এই আমি দিব্যি চলছি-ফিরছি
মায়ের কথা মনে হলেই শীতের মতো চুপসে যাই
তখন আমার মাথায় তিনশত পয়ষট্টি ডিজিটের
একটা ক্যালকুলেটরের হিসেব আসে
যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ শেষে ফলাফল হিসেবে যা পাই
দেখি শুধু মা আর মা –