ভেতরেই গড়ে ভেতরেই ভাঙ্গে ভেতরেই ঘটে সব
বুকের ভেতর বাসা বাঁধে নীল প্রজাপতির উৎসব
কালের পাহাড় রুপোলি রোদের অমৃত সব সুখ
আজন্ম বিশ্বাসে নিজের আয়নায় দেখি মাটির মুখ
ধূপছায়া রাতে জোনাক যুবতীর উথালি-পাথালি নাচ
ষোড়শী চাঁদ উঁকি মেরে দেখে যৌবনা ঋতুর রাত।
উৎসুক হয়ে এগিয়ে আসে বনেদি কাশবন
মেহেদীর রঙে আল্পনা আঁকে স্পন্দিত জীবন
জীবনের রং হয় নাকো ফিকে যতোই করি মোরা ঢং
ব্যর্থতা যতো ফেটে পড়ে ক্ষোভে বাঁকী সব হলো লোভ
অচেনা ভ্রমর শুষে নিয়ে যায় মন্ত্রিত সব সুর
হিসাবের খাটিয়ায় আগুন লাগিয়ে সাধনা করি সাধুর
কাঁটায় ভরা জীবনের পথ হয়না কখনো মধুর
আভিজাত্যের সিন্দুকে লুকিয়ে ফেলি বয়সী মুখ।
বিবর্তনের ছায়ার উপর জাদুকরী চোখ ফেলে
কেউ কেউ নাচে পুতুলের নাচ, ভেলকি দেখিয়ে বাঁচে
ধর্মের হাটে চলে সুখ বেচা-কেনা মঙ্গল কাব্য থাকে পড়ে
কে জ্বালিয়েছে অদেখা আগুন নিত্য যাচ্ছি পুড়ে
উষর ভূমি উর্বর করতে ছড়িয়ে প্রেমের ডালি
বসে আছি হাটে কে কে কিনে নেবে তারই অপেক্ষাতে।
মমতার থালা চেটেপুটে খাও কালের আঙিনায় বসে
বিষাদের গান মুখরিত হোক শুষ্ক প্রান্তরে
নোঙ্গর তোলো মাঝি সময় হয়েছে ভাসাও তোমার নাও
খরস্রোতা নদী পাড়ি দিতে হবে সামনে এগিয়ে যাও
সময় হয়েছে এগিয়ে চলো মাঝি সইছে না দেরি
সামনে হাঁকছে ভবিষ্যতে দিতে হবে পাড়ি নদী
কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকুক সবাই একা বসে
হাল ধরে একা কৃষক, সোনার ফসল ফলে।
দ্বিতীয় দীর্ঘ কবিতাটি পড়লাম প্রিয় কবি মি. মোকসেদুল ইসলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। শুভ সকাল।
আসসালামু আলায়কুম। লাগলো আঙ্কেল।
মমতার থালা চেটেপুটে খাও কালের আঙিনায় বসে
খুব সুন্দর একটা আধুনিক কবিতা। সকাল বেলা পড়েই খুব ভাল লাগল।