আমরা ভুলেছি ডুবসাঁতার খেলা
অন্ধ হওয়ার আগে কাঁদতে গেছি ভুলে
পাথরচোখ শুধু চেয়ে দেখে নির্মম বর্বরতা
মেঘের ভেতর ডুবতে বসেছে থলথলে রোদ
দুধশিশু সাঁতার কাটে বাপ- চাচার লাশের ওপর
মা কিংবা বোনের শরীরে হায়েনার আঘাত।
বাক্স – পেটরায় রাখা স্বপ্নের খোলস
তবুও দূরদেশী – বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে চোখে
ওরা রিফিউজি নয়- মানুষ।
‘মানুষ’ – এই শব্দে আর বিশ্বাস নেই
পাখির মতো যার আয়ুর পরিসীমা – তারই নাম রোহিঙ্গা
প্রতিশ্রুতির দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেলে বঞ্চনা।
পুশ – ইন আর পুশ – ব্যাক এর খেলায় পুড়ছে মানবতা
তবুও শান্তির নোবেল হাতে নিয়ে প্যাগোডার ভিক্ষু হাসে
নাফের জলরাশি জেনে গেছে বুঝি মৃত্যুর চেয়ে বড় কিছুই নেই পৃথিবীতে।
‘মানুষ’ – এই শব্দে আর বিশ্বাস নেই
পাখির মতো যার আয়ুর পরিসীমা – তারই নাম রোহিঙ্গা
প্রতিশ্রুতির দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেলে বঞ্চনা।
মানবতা ফিরে আসবেই…
‘‘মানুষ’ – এই শব্দে আর বিশ্বাস নেই
পাখির মতো যার আয়ুর পরিসীমা – তারই নাম রোহিঙ্গা।’
অপরিণামদর্শী এই মানুষ যেন মানুষ নয়; বর্বর শাসকের শোষণ পরিণামের ক্রীড়নক।
পশুকে পশু হতে হয় না কিন্তু মানুষকে মানুষ হতে হয়।
ভালো লিখেছো মোকসেদুল।