উর্বশী চাঁদের হাট

উর্বশী চাঁদের হাট

পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যেও। উপেক্ষিত প্রণয়ের দিনে স্বাক্ষী থাকুক ভেজা মন, নষ্ট বুকখানি। তুমি তো চলেই গেছ, বিপন্ন ধারাপাতে জটিল হয়েছে যে জীবন সেতো আমার নয়। সন্তর্পণ আর্তনাদ করে উড়ে যায় যে পাখি তাঁর কাছে পৃথিবীটা বাসযোগ্য নয়। একজোড়া অন্ধকার চোখ চাই, দেখতে চাই ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাওয়া রূপ। প্রকৃতির কাছে শিখছি উদার হতে – শোকেসে সাজিয়ে রেখেছি দুঃখ প্লেট, কষ্ট গ্লাস – ডুপ্লেক্স বুকের ফ্ল্যাট। বুকের জমিনে সাজিয়ে রেখেছি শখের আসবাব। এখনতো শপিংমলেই কিনতে পাওয়া যায় দুরারোগ্য ব্যাধি – প্রেম সেও তো টুকরো কাঁচের বাসন। রাত শেষে নর্তকীরা সব মাতাল বেশে হাঁটে যে নগরে আমিও সেই নগরের বাসিন্দা হবো। তাদের সঙ্গে পাঁজর ভাঙ্গা নাচন নেচে সমস্ত জঞ্জাল বিকিয়ে দেবো উর্বশী চাঁদের হাটে।

1 thought on “উর্বশী চাঁদের হাট

  1. অসাধারন লাগে এমন গদ্য লিখন। অভিনন্দন প্রিয় কবি মোকসেদুল ইসলাম। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।