চার দেয়ালের ভেতর ঘরবন্দি মানুষ। শূন্য শহরটা এখন রূপকথার মরুভূমি। অথচ মাহমুদ আলী এখন যে ফ্ল্যাটটিতে আছেন সেখানে এই মুহূর্তে কেউ নেই। দুপুরের খা খা রোদ জানালার গ্লাস ভেদ করে তার শরীরের ওপর পড়ছে। জানালার এলোমেলো পর্দাটা ঠিক করে দেয়ার মতোও আজ কেউ নেই তার।
ইদানিং পৃথিবীতে মানুষের! বড্ড অভাব। মাহমুদ আলীর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত উঠানামা করে। চোখের ভেতর খেলা করে তীব্র রোদ। লাল-নীল-সাদা-হলুদ-সবুজ বিচিত্র সব রংয়ের খেলা তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। শুনতে পায় বুকের ভেতর নিরন্তর হাতুড়ির শব্দ।
মাহমুদ আলীর চোখদুটো এখনও খোলা। শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে গেছে। বুকের ওপর থেকে রোদটা সরে গেছে। কিন্তু তাকে ধরে উঠে বসাবে এমন মানুষ পৃথিবীতে আর নেই।
বাহ্ অসাধারণ লেখা!
ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের এক এবং অনন্য সত্য উঠে এসেছে অণুগল্পটিতে।