হুঁশিয়ার সঙ্ঘমিত্র

জানলা খোলাতে চাও এ ভুতদুপুরে!
চার্দিকে হাজার আঙুল
রে রে করে উঠলেই
বংশগত অবিশ্বাস তাড়া করে।

বলগা হরিণ মরুভূমির বালিতে হুমড়ি খেলেই
অট্টহাস বিষদ্রংষ্ট অবেলার রোদ্দুর।

দরজা খোলাতে চাও এ বিকট সন্ধ্যেয়!
নাটমন্দিরে ঘিরেছে এখনো
অন্ধযুগ মৌল নিদান
এক্ষুনি তর্জনী উঁচিয়ে বলে উঠবে ‘খালাস’,
সব রঙ চুরি হয়ে মাটিতে থাকবে
শুধু লোহিত বিষন্নতা।

খোলা আকাশের নীচে ননীচুরির গল্প আজও
টানে বসন্তবালিকার সকাল রোদ্দুর,
অন্ত্র ছিঁড়ে গেন্ডুয়া খেলো
শাবাসি জানাবে পচা নর্দমা গন্ধ,
সাতপাকে বাঁধার গূঢ় ইচ্ছা জানলেই
শপাং চাবুক হাওয়ায় শিস তুলে
ফেরাবে সিন্দবাদের ধ্বংসমুলুক।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

3 thoughts on “হুঁশিয়ার সঙ্ঘমিত্র

  1. অসাধারণ লিখেছেন প্রিয় কবি 

    শুভকামনা রইল 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।