বাবা

আম্মু দেখে ধোয়ার ক্ষণে,
বলে তখন উদাস মনে—
“শার্টের কলার ক্ষয়ে ঘর্মে,
সুখ যায় উড়ে তবে কর্মে।
আহ! বোতামটা ছিঁড়ে পড়ে;
জুড়ে দিব আজ সোনামুখী সুইফোঁড়ে!”

জুতোর তলা গেছে ফেটে
ধুলি মুছে পলিশ নেটে
মুচি বলে অবাক শত—
“স্যার, আর সেলাই কত?
নতুন একখান কিনুন আবার;
গুনেছি, আজকেসহ সাতাশবার।”

কাজের ফাঁকে ক্লান্ত রোদে
বাবার তখন ভীষণ খিদে
দু’টো সিঙ্গারায় উদর ভরে
সন্ধ্যে হলে ফিরে ঘরে।
আশার আলো চাঁদটা উড়ে
স্বপ্ন একদিন আসবে নীড়ে!

মৃধা মোহাম্মাদ বেলাল সম্পর্কে

মৃধা মোহাম্মাদ বেলাল তরুণ লেখক ও কবি। জন্ম ১৯৯৬ সালে ৫ই জুন, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার দক্ষিণ কোদালপুর গ্রামে। পিতা- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মৃধা, মাতা- গৃহিণী হোসনেয়ারা বেগম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনিই জ্যেষ্ঠ। লেখালেখির অভ্যাস নবম শ্রেণি থেকে। তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন কবিতা, কলাম ও ফিচার। তার লেখায় ফুটে উঠেছে অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা, নাগরিক অধিকারের বহু মাত্রিক দিক এবং প্রেম-বিরহ-প্রণয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।

18 thoughts on “বাবা

  1. দারুণ ছন্দে লিখেছেন।

    চিত্রকল্প চোখে ভাসলো; মুগ্ধতায় ভাসলাম !

  2. জুতোর তলা গেছে ফেটে
    ধুলি মুছে পলিশ নেটে
    মুচি বলে অবাক শত—
    “স্যার, আর সেলাই কত?—————-

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।