পরিবেশ

031

প্রাচীন এ দৃশ্যপথ:
প্রত্যহ সমুদ্র-শব্দে জাগে সমতট,
অরণ্যে সবুজ দিন আসে,
রাত্রিরা তারায় তীব্র আদিম আকাশে।
কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক
ভাদ্রের পদ্মায় আজও দেখে গেল রৌদ্রের ঝিলিক-
দিগন্তে মেঘের ছবি অদ্ভুত রেখায় আজও আছে-
কালো-নীলে রাঙা পাখি উড়ে যায়
এক বুনো গাছ থেকে আর এক গাছে-
এক মুঠো ধান
দেয় ম্লান অঘ্রানের হাওয়ায় অপরিমেয় ঘ্রাণ।

এই দৃশ্যে আমরা নূতন-
আমরা নূতন অভিনেতা:
আমাদের সুপ্তি জাগরণ
যেন অন্য কোনো দিনে
আমাদের হাসি-অশ্রু-ব্যথা
শুধু নিতে পারে চিনে
অন্য কোন সময়ের আকাশ-বাতাস।
এই নদী এই জল
সমতলে অলস ফসল
দূর হতে করে শুধু রূঢ় পরিহাস।

আমরা সমুদ্র চাই
যে-সমুদ্র নয় এই সুন্দরবনের,
বন্দরের আলো আর
জাহাজের ইস্পাতি ছায়ায়
সে-সমুদ্র করে ঝলমল।
আমরা এসেছি নিয়ে মনে এক ধোঁয়াটে আকাশ
সেখানের পাখির পাখায়
ছবি নেই- এলুমিনিয়াম।
আমাদের ক্ষেত হতে মুছে গেছে বলদের চোখে
কোনো বিষণ্ণ দুপুর
সেখানে লোহার দাঁত-
গভীর লোহার দাগ
গ্রাম ছেড়ে একদিন শেষে
পৃথিবীর দিক্ প্রান্তে মেশে।।

031aaa
( স্মৃতি থেকে নেয়া। )

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter