মুখচেনা অনাসৃষ্টির স্রষ্টা

summer-rain

ইদানীং অনেকেই সৃষ্টি করে-
প্রতিষ্ঠিত করে হৃদয়ের বিচ্ছিন্ন যুক্তি
উড়িয়ে দিতে চায় নীল বিহঙ্গে
হৃদ কেন্দ্রিক উচ্চারণ গুলো
কী সংক্ষিপ্ত অভিনবত্বে
ছুঁড়ে দেয় বিজ্ঞের বিলাসিতায়।

ঠোঁটে তুলে নেন তাম্রকূট
নয়নে ধরেন উদাসীনতা বিস্তর
দেহে অবহেলার পরিচ্ছাপ;

বিরোধ গড়েন স্বয়ং স্বকীয়তার সংগে
হয়ে ওঠেন আলাপ বিমূখী কখনো সখনো
কখনো যুদ্ধংদেহী দেব পুরুষ
শব্দের অলংকারে তুলে নেন রঙ জল তুলি
নাক্ষত্রিক ক্যানভাসে
অস্পষ্ট অহংকার সে যায় কলমের ডগায়…

একদিন, সময়ের সন্যাস ভাঙ্গে
বাস্তবতার অভিযাত্রা ছোঁয় তৃতীয় নয়নের জানালা
মুছে যায় ভাবনা, দিনের আলো ঢেকে দেয় কালো আকাশ।

সৃষ্টি অপেক্ষা পায় স্বভাবের দো’রে
স্বভাবের অভাব খেয়ালী
থেমে যায় সব, গম্ভীর হয়ে যায় সব। আর বুঝি হয়না-
সৃষ্টিকে যে লালন করতে জানেনা
সে কেমন শিল্পী
কেমন সে স্রষ্টা?

গৃহবাড়ি ধ্বসে যায় পুরাতন প্রেমের কম্পনে
যে যায় যেভাবে যায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিয়ে যেতে থাকে-
নিঃশব্দচরণে প্রেম তবু আসে দুয়ার মাড়িয়ে।

summer-rain 1

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter