প্রবর্তনা

redhearta

কে তোমার কাছে এসেছিলো কাল রাতে ?

তুমি তো রমণী শুধু নও। তবু কেন জানালার
কার্নিশে চিবুক রেখে প্রলয়ের স্বপ্ন দেখো ?
বাতাসের গর্ভ থেকে-
প্রসূত জন্মের পাপ কখনও সম্ভব নয়
মুছে ফেলা। মোহনীয় দুটি হাতে
বরং এখনই তুলে নাও শর্তহীন ফল।

ভৌতিক প্রবর্তনায়, অনন্তের প্রথম ছোঁয়ায়
শীতের কম্বল ছেড়ে চলে গেছে নিরুদ্দিষ্ট সন্ত।
এভাবেই যায়।

তার পরিচয়-
এখানে জানে না কেউ। কোনদিন জানবে না আর।
চিহ্নহীন চিহ্ন তার শুধু পড়ে আছে নিভৃত পৃষ্ঠাতে।

কে ছিল তোমার ঘরে কাল রাতে ?

জানি না কখন উপড়ে ফেলেছ
বুকের শেকড়
মাতাল প্রহরে সিম্ফনি বাজে
ছায়ার ভেতর।

রোদের আড়ালে কারা কথা বলে
বিপরীত কালে
সোনালী মাকড় ধরা পড়ে তার
নিজস্ব জালে।

মেঘের মিনার ভেঙ্গে গেলে থাকে
জৈবিক নীল
শূন্যতা জানে শূন্য সে নয়
ব্যাপ্ত অখিল।

redheart01a

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter