অসহিষ্ণু

বিরাট কৃষ্ণচূড়া গাছটি
বেড়ে উঠল অবলীলায় অবহেলায়-
প্রকৃতির ছত্রছায়ায়, আপন মনে
রাজপথের মাঝখানে।

অবৈধ তার জন্ম নেওয়া এবং বেড়ে ওঠা
সগর্বে ঘোষনা করলো রাজ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু অবুঝ কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটি
এখনও বোঝে না বৈধতা বা অবৈধতার প্রশ্ন।
উপড়ে ফেলা হবে তাকে
এই কিছুক্ষণের মধ্যেই।

ক্লোরোফিলের কার্যক্রমে পত্রগুলো
প্রকৃতির আলো বাতাসে আনন্দে দোল খেত
কৃষ্ণচূড়ার রক্তলাল ফুলগুলো
করতো সৌন্দর্য বিস্তার।
তারপরও সকলে বিধিসম্মত উপায়ে
টুকরো টুকরো করলো শাখা- প্রশাখাসহ
বিশুদ্ধ লাল ফুলগুলো সমেত।

কৃষ্ণচূড়া গাছটি বেঁচে থাকত,
হাসত, মৌসুমী বাতাসে ফুলগুলো
দোল খেত অতি পবিত্ররূপে
আরো শতবর্ষ,
যদি কর্তৃপক্ষ ঘুড়িয়ে নিত তার রাজপথটি।

কর্তৃপক্ষের এ অসহিষ্ণু সংজ্ঞা
সমাপ্তি টেনে দিলো
কৃষ্ণচূড়ার শতবর্ষের সত্বা।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter