ধ্রুপদী

Leonidafremov

দূর- দিগন্ত কুয়াশায় যায় ঢেকে
কনে- দেখা- আলো ধূসর ঘোমটা টানে
কড়ি ও কোমলে, প্রদোষের অভিষেকে
শিশিরের সুর বাজে মৃদঙ্গ- তানে।

পৃথিবীর শেষ প্রান্তিক তটরেখা
অবগুণ্ঠিতা প্রসারিত মহাকাশে
ময়ূরপুচ্ছ জলের চিত্রলেখা
উধাও অতীতে অতুল সর্বনাশে।

ভৈরবীদের ব্যাপ্ত জটার চুলে
সিজ্জিন- কাল বিদিশার নিশা নামে
অন্তরীক্ষ সাজে না যুঁথিকা ফুলে
কৌমুদী হত অনিষ্ট সংগ্রামে।

স্মৃতি- বিহঙ্গী চৈতন্যের নভে
মুক্তপক্ষে উড্ডীন, বেগবতী
কণ্ঠ মূর্ত অমরাবতীর স্তবে
চোখে স্বপ্নের মূর্চ্ছনা শাশ্বতী।

বিগত কালের শিউলীর খোঁজে ছুটে
ধোঁয়াটে বাতাস জমে সিন্দুক ভরে
শুভংকরের ফাঁকি- আঁকা করপুটে
রিক্ত সময় শূন্যতা রাখে ধরে।

পশ্চাতে তাই বিরহ- বাঁধন ছিঁড়ে
সম্মুখে চলে মনপবনের তরী
আকাশ- কুসুম দুঃখ- গ্লানির ভীড়ে
চন্দ্রিমা- ডানা মেলে আনন্দ পরী।

আফ্রোদিতির অরূপ ঊর্ণাজালে
বন্দিনী পুনঃ বাসনার শঙ্খিনী
শিলা- জলসিত লালপাহাড়ের ঢালে
কিশোরী ঝর্ণা বাজায় কাঁকন- ধ্বনি।

তটিনীর বুকে প্রেমের অঙ্গীকারে
প্রতি জলকণা অবাধে সাগরগামী
আবেগের বেগে- স্পন্দিত অভিসারে
সতত ধাবিত সুধা- সঙ্গমকামী।

Reflection

*প্রদোষের অভিষেকে: সন্ধ্যা অথবা সন্ধ্যারাত্রি। সন্ধ্যার শুভযাত্রা।
*সিজ্জিন- কাল: বারিধারা অর্থাৎ বর্ষাকাল অর্থে বোঝানোর চেষ্টা নেয়া হয়েছে।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter