আজ আমি শান্ত

আজ আমি শান্ত।
থামিয়ে দিয়েছি আমার জীবনের সকল বসন্ত;
আজ আমার জীবন হয়েছে পুষ্প-শূন্য
শীত বৃক্ষের মতো।

দেখে যাও আমার জীবনের গোধূলি- বেলা
যেখানে আছে শুধু আলো- আঁধারের খেলা
ডুবছে যেন অন্ধকারে বানানো কঠিন ভেলা
কি ত্রুটি ছিলো আমার অচেনা সুরের মেলা।

হায় !! একেলা তিমিরের কালো বেলা
আর কত দেখাবে আমায় ঝিনুক বালা

আজ আমি নিশ্চল, বদন ক্লান্ত
হাত কম্পিত, পা বিবক্ষিত
চমকিত-
তোমার রসিকতা দেখে পুলকিত।

ঐ বিশাল নীলাকাশের নিচে নীল- সিন্ধু
এলোমেলো মুক্ত বাতাসে আমি গাঙচিল
সিন্ধু স্নিগ্ধ শীতল ঢেউয়ে যেন খুঁজে ফিরি
স্পর্শে সর্বাঙ্গে পলকে পলক পূতহৃদবন্ধু।

নিঃসঙ্গ একাকী পৃথিবীর বিনিদ্র প্রহর
দূর্বাঘাসে ছড়িয়ে থাকা ধুলোর চাদর
সারাক্ষণ শুধু আনমনা নিশ্চুপ অন্তর
লম্বা শ্বাসে ভরে নিই পুরনো আদর।

মন্দিরে মন্দিরে প্রেমবীণার সুরতরঙ্গ
বৃত্তাকারে অর্কের সোনালী আলো রঙ্গ
আলোতে শিশিরে গড়েছে সাথী সঙ্গ।

আজ আমি শান্ত।
থামিয়ে দিয়েছি জীবনের সকল বসন্ত;
শীত বৃক্ষের মতো।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter