তুমি যে ভূখন্ডের সাজানো ঘরে বসে
ভালোবাসার ঠোঁটে চুমু খাচ্ছো
আমি তারই সীমান্তে এসে পৌঁছেছি আজ সকালে।
এখন মধ্য প্রহর
মাথার উপর সুকান্ত সূর্য সোনা রং তার আলো,
কানে সমুদ্র গর্জন, গাংচিল পাখার মায়াবী কথন।
পাঁজরের হাড় যেনো সেতারের চিকন তার
সেই তারে তোমারি বিরহের সুর বাজে বার বার,
ইচ্ছে করলেই আমি পাহাড় চূড়ায় উঠে
প্রিয় নীল আকাশে বৃষ্টি ধোয়া বকের পালক-
সাদা সাদা মেঘ গুলোকে অঙ্গুলিতে ভরে
তোমারই উদ্দেশ্যে জলাঞ্জলি দিতে পারি।
আমি এখনো সীমান্তে পা রাখিনি।
ইচ্ছে করলেই ফিরে আসতে পারি
কলিং বেলে লম্বা চাপ, আবারো সেই হৈ চৈ
গান লিখার ব্যর্থ চেষ্টা
খামখেয়ালীর তাঁতানো ছুরিতে
তোমার স্নায়ুর চাপ বৃদ্ধি
সেতো খুব সহজ কাজ আমার-
কিন্তু আমি ফিরবো না।
আমার শংকিত মুখে এখন সন্ধ্যার ধূপছায়া আলো
আমি অন্ধকারের রূপ নেবো এখুনি
খুব গোপনে সতর্ক পা রাখবো সীমান্তে
নতুন আর এক জীবনের সন্ধানে-
যেখানে আমি ছাড়া আমাকে আর চিনবেনা কেউ।
কবি জিয়া রায়হান এর অরক্ষিত হৃদয় থেকে নেয়া। অরক্ষিত হৃদয় কবি’র তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। যিনি হৃষ্ঠচিত্তে বলতে ভালবাসেন “আমি কবিতায় হাসি কবিতায় কাঁদি কবিতা ভালোবাসি।” সেই তিনি লিখতে লিখতে হঠাৎ হয়েছেন ধূমকেতু। নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন স্বনির্মিত দেয়ালে। রেখেছেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। কখনো জ্বলে ওঠেন আপন স্বকীয়তায়। কখনো নিস্প্রভ, যেন অভিমানের কাঁচের দেয়ালের ওপাড়ের অচেনা পথিক। একজন গুণমুগ্ধ পাঠক হয়ে আজও তাঁর যে লিখাটি আমি ভুলিনি … নির্বাসনে ভালোবাসার হিসাব মেলে ভালো। সত্যিই কী তাই !! কবি’র কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা।