পথের ঠিকানায়

boishnob

মাঠ পেরোলেই গাঁ
যেখানে এক বৈষ্ঠমী হঠাৎ
এসে আগলে দাঁড়িয়েছিলো
পথ, বলেছিলো বৈষ্ণব হবি ?

যাবি নাকি আমার সাথে পথের ঠিকানায় ?
কি ছিলো তার চোখে
আমার মুখে কথা সরেনি।

আমার বুকের ভেতর কষ্ট হয়
ভীষণ কষ্ট। আমার দম বন্ধ
হয়ে আসতে চায়।
শরীর ছুঁয়ে যায় সুবাতাস।
বাতাসে মাদক গন্ধ থাকে
কষ্ট এবং সুবাতাস আমাকে জানায়
তার বার্তা …

আবার একদিন দেখা হয়েছিলো
তার সাথে এক ভরা হাটে
অশ্বত্থ তলায় পা ছাড়িয়ে
বসেছিলো একতারাটা পাশে রেখে।

আমায় দেখে ত্রস্তে উঠে
জড়িয়ে ধরেছিলো হাত; বলছিলো
তোর উত্তর পাইনি এখনো
চোখে আকুতি নিয়ে জানতে
চেয়েছিলো কিছু।

কি চায় বৈষ্ঠমী ? পথের ঠিকানায়
ওকি গড়তে চায় আবাস
নাকি সমাধি প্রেমের ?

boii

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter