গুপ্তধানুকী এবং মাংসবিক্রেতা

সারারাত মুঠোর ভেতরে জোনাকির আলো নিয়ে বসে থাকি
ভোর হলেই তারা সব মৃতদেহ;
হাওয়ায় উড়ছে দীপাধারের শব।

মানুষ টের পায় ঠিক।
আর মৃত্যুর গন্ধ যত বেশি কাছাকাছি হয়;
তীব্র ধাবিত হয় জীবনের দিকে

এবং নিজের অজান্তেই মৃত্যুবাসরের জন্য তৈরি করে এক
অনিন্দ্য ফুলের বাগান।

এখনো জীবন্ত ফেনার চিহ্ন লেগে আছে মৃত ঘোড়াদের নালে,
পিঠে এখনো বাঁধা আরোহীর স্যাডল।
পালিয়ে গেল যেসব ঘোড়সওয়ার
তাদের প্রাণহীন অশ্বগুলোকে পরিত্যক্ত ফেলে
তারা জানত না প্রতিটি ঘোড়সওয়ারকেই হতে হয় দক্ষ তীরন্দাজ?
তারা কেন অস্ত্রহীন গিয়েছে
সেই জঙ্গলের পথে
যেখানে ওৎঁ পেতে আছে গুপ্তধানুকী এবং মাংসবিক্রেতারা?

3 thoughts on “গুপ্তধানুকী এবং মাংসবিক্রেতা

  1. মানুষ টের পায় ঠিক।
    আর মৃত্যুর গন্ধ যত বেশি কাছাকাছি হয়;
    তীব্র ধাবিত হয় জীবনের দিকে….

    অনেক ভালো লাগল

  2. এবং নিজের অজান্তেই মৃত্যুবাসরের জন্য তৈরি করে এক
    অনিন্দ্য ফুলের বাগান। ___ সার্থক কবিতা। বিনম্র সম্মান জানবেন আপা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।