বেহুলার ভেলা
উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীন দুঃখেরা
‘ভালবাসা’ চাতকের মতো
এক ফোঁটা নোনা জল চঞ্চুতে তুলে নেয়
‘প্রেম এসেছে কি’ বলে মেয়ে দুয়ারে দাঁড়ায়।
অহল্যার পাষাণ ভেঙ্গে রক্ত কমল ফোটে ;
গোপন-কলসীর এক বিন্দু নীরে
শাপ তার কেটে গেছে বুঝি ?
বারিধি-বিম্বে শকুনের ডানার ছায়া কাঁপে
তবু সরোজ-শিহরে কাঁপে আয়ুষ্মতী-জল
মৎসাকাংখী পানকৌড়ি ডুব-সাঁতার কাটে সরোবরে।
আদিম নিগড় ভেঙ্গে সুরের লহরী ভেসে আসে
নূপুর-নিক্কন বেজে চলে
বেজে চলে
বেজেই চলে।
ক্রোড়ে মাথা অবিকল শিশু লখিন্দর
নবজন্ম দেবে বলে জননী-জায়া বেহুলার
ভেলাটিও ভেসে ভেসে চলে।
( রচনাকাল-১৯৯৭)
বোদ্ধা পাঠক আপনার এই লিখার মূল্যায়ন নিশ্চয়ই করবেন।
অগভীর এবং গতানুগতিক পাঠক হিসেবে আমার কাছে লিখাটি অসাধারণ লেগেছে।
অনন্য উপমার সমাহারে অতি হৃদয়ষ্পর্শী লেখা।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।