ইনকগনিটো
সবাই সতর্ক খেলছে। চেস, ট্রাম্পকার্ড, হাউজির খেলা।
ছায়ার অন্তর্গত ভিন্ন ছায়াবাজির খেল ;
ইন্দ্রজাল আর ছদ্মবেশের চৌকাঠে
পা আটকে যাচ্ছে বারবার।
হয়তো-
তোমার পিংক বাথটাবেরকানাভর্তি স্বচ্ছতার
আড়ালে আছে কোন প্রাণঘাতী দাহক ;
উপুড় অডি কোলনের শিশি ঢাললেই
রুদ্ধ হবেনা তার জ্বলন স্বভাব।
বিপরীতে –
গায়ে ভীতিকর রোঁয়া ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে
ভয় দেখাচ্ছে যে হত কুৎসিত শুঁয়াপোকা ;
সে-ও একদিন ঠিক মধুবর্ণী প্রজাপতি হবে।
কোনটা যে কার আসল রূপ!
কে যে কোন আড়ালে লুকোনো!
কখনওবা আবরণও মনোহর
চরকির ফ্যাকাসে কাগজে
চড়া রঙের প্রলেপ মাখানো ঘূর্ণনে বুঁদ হয়ে থাকি।
একটি গাঢ় রাত যখন তিমিরাশ্রয়ী আরেকটা রাতকে
আবরণ খুলতে বলে ;
অন্য রাত অবজ্ঞায় পাশ ফিরে শোয়।
যেন সে বধির। যেন সে স্পর্শ স্পন্দনহীন।
দেয়াল এঁকে যাচ্ছে ঝড়মন্দ্র বাতাসের করতাল
ফুটে ওঠে একটা হাঙ্গর ভয়ের ছায়া
ঝরে যাচ্ছে সব আচ্ছাদন………
আড়াল ভালোবাসি আমিও তো।
আপনার লিখায় অসাধারণ দিক যেটা আমার নজরে আসে সেটা তেমন বিশেষ কিছু নয়; আবার বিশেষ কিছুও বটে। লিখাতে যে নিজস্বতা এবং আপনার স্বকীয় চেতনার প্রকাশ …
এককথায় অসাধারণ হয় আপা।