স্যুভেনির

স্যুভেনির

তোমার শহরের মানচিত্র আঁকছিলাম দীর্ঘক্ষণ
সাদা কাগজে অবিরত পেন্সিলের উল্টোপিঠ ঘষে গেছি ; কোন দাগ পড়েনি কোথাও।
ছায়াঘন চোখের রাজপথ থেকে
গলি-উপগলি পেরিয়ে
এক গভীর উদ্যানের সাথে
মিশে গেছে যে অঙ্গুলি-নির্দেশ
কোন আঁচড়ের টানে যায়না ধরে রাখা তাকে।

নিমগ্ন পাঠে খুঁজেছি
শব্দের অর্ধস্ফুট বর্ণমালার ঘ্রাণ।
যন্ত্রণাগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে
একটা হট্টগোলের পৃথিবীতে চলে গেলেও
বিস্মরণে হারিয়ে যেতে দেয়না সুষুপ্ত একটা খোঁচা।

মুঠোর ঘর্ষণে সমস্ত সবুজ ঝরে গেলে
পাতার কংকাল হাতে বসে থাকি।

বরফে চোবানো বোতলটা এবার খোলো
ময়ুরপাখায় উড়তে থাকুক অবরুদ্ধ স্বপ্নগুলো;
একটি নাচের পালক খসে গেলে,তুলে নিয়ে
মহার্ঘ্য স্যুভেনির করে রেখে দিও।

5 thoughts on “স্যুভেনির

  1. মুঠোর ঘর্ষণে সমস্ত সবুজ ঝরে গেলে
    পাতার কংকাল হাতে বসে থাকি।

    স্যুভেনির থেকে হঠাৎ করে চোখ ঝাঝালো হয়ে গেলো। কেননা, স্যুভেনির এর সাথে বেশ সখ্যতা রয়েছে আমার কাজ করতে গিয়ে তাইতো। কিন্তু পড়ে বুঝতে পারলাম যে, এতো কল্পকথন! দারুণ অভিব্যক্তি।

  2. বরাবরের মতো সুন্দর লিখা আপা। এভাবেই শব্দনীড়ের পাশে থাকুন। ভালো লাগবে। :)

  3. হার্দ্যিক শুভেচ্ছা দিদি ভাই। কবিতায় মুগ্ধতা রাখছি।

  4. অপরূপ চিত্রায়নে সূচনা, অনুসরণে নিদারুণ বোধ অতঃপর নিঃশেষে অমৃত….
    নিপুণ সৃষ্টি।
    অনেক ভালো লাগা রইলো।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।