ঈশ্বর

ঈশ্বর

আকণ্ঠসূরার ভারে
টলতে টলতে কোথায় যাচ্ছে এ মাতাল শহর!

আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেন না।
মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
আধোঅন্ধকার ঘরে
থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।
আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে ‘আহা’ ধ্বনি বাজে।

মাত্র আধহাত দূরে পানপাত্র রেখে
যে লোকটা অসীমধৈর্যে বসে আছে
ঠোঁটে ছোঁয়ালেই শেষ হয়ে যাবে ভয়ে;
সেই সুস্থির লোকটাকেই ঈশ্বর মনে হয়।

এই যে এখন টালমাটাল পায়ে
হেঁটে যাচ্ছে একজন ঘোরমাতাল
যদি ঠিকঠাক দরোজায় ঠোকা দেয়
সেও তো ঈশ্বর হয়ে যেতে পারে…..

8 thoughts on “ঈশ্বর

  1. অসাধারণ কবিতায় অশেষ মুগ্ধতা জানালাম প্রিয় আপা। সালাম জানবেন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  2. মেঘ ছিঁড়ে ঝুম বৃষ্টি নামলেই,
    আধোঅন্ধকার ঘরে
    থোবড়ানো বিয়ারের ক্যান হাতে কেবলই ঝিমান।

    আমাদের ঘরে কোন ঈশ্বর আসেন না। শুভেচ্ছা রইলো কবি।

  3. ঈশ্বর। আমরা দিনরাত্রি তার তপস্যায় থাকি
    প্রার্থনারত হাতগুলো থেকে মাঝেমধ্যে ‘আহা’ ধ্বনি বাজে। স্পস্ট অনুভব দিদি ভাই।

  4. অনেক পূর্বে এই কবিতাটি পড়েছিলাম কবি বোন নাজনীন খলিল।  সুন্দর।

  5. কবিতায় শুভেচ্ছা রইলো আপা। 

  6. শ্রদ্ধেয় কবি নাজনীন খলিল দিদিকে শুভেচ্ছা। আশা করি ভালো থাকবেন দিদি। 

  7. বহুরূপে ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর….

    সুন্দর উপস্থাপনা। ভাষা প্রয়োগ ও শব্দের ব্যবহার যথাযথ।
    সুন্দর কাব্যিকতায় মুগ্ধ করলেন কবিবন্ধু।
    জয়গুরু।

  8. দূদান্ত  একটি কবিতা,  এই ধরনের কবিতা এখন আর খুঁজে পাওয়া যায়না, তবে চোখে পড়ে যায়, সেটা বোধহয় কপালগুনে!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।