বাংলার মহৌষধ ‘চা’
স্বাদের চা, তোমাকে নমস্কার!
বলো– তোমায় কে করেছে আবিষ্কার?
কারণ, তুমি এখন মিশে আছো
মানুষের রক্তে, দেশের অর্থনীতিতে।
ঘরে-বাইরে, দেশের আনাচে-কানাচে,
অতিথি আপ্যায়নে, অফিসে আদালতে।
তাই আমার জানার খুবই দরকার!
স্বাদের চা, তোমায় কে করেছে আবিষ্কার?
শুনেছি তোমার আবিষ্কার চীন দেশে!
উড়ে এসে মানুষের কাঁধে করেছো ভর।
তুমি ছিলে বনজঙ্গলে অযত্নে অবহেলায়,
একদিন মিশে গেলে গরম পানিতে।
অমনিতেই পানির রং হয়ে গেলো লালচে,
আবিষ্কারক তৃষ্ণা মেটালো পরম তৃপ্তিতে।
আসলে কি সত্যি? তাহলে তুমি যাদুকর!
তুমি এখন সারা দুনিয়ার বিস্ময়কর!
চীন থেকে তুমি এসেছ এই বাংলায়,
মানুষের রক্তে মিশেছ বিনা পয়সায়।
তুমি এখন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে,
হাট-বাজারে, হোটেল, বড়বড় রেস্তোরায়।
তুমি ফুটপাতে, ট্রেনে, লঞ্চ-স্টিমারে, বিমানে,
বিয়ে সাদিতে, রাজনীতির মঞ্চে, আড্ডায়।
স্বাদের চা এখন তোমায় ভোলা বড় দায়।
চা ছাড়া এখন বাংলার মানুষের জীবন যায়।
স্বাদের চা, তুমি এখন কবিরাজি ঔষধ!
তুমি এখন বহুরূপে বাংলার আনাচে-কানাচে।
তুমি যখন লেবুতে মিশো, নাম হয় লেবু চা,
মাল্টাতে মাল্টা চা, তেঁতুলে মিশে তেঁতুল চা।
পুদিনাপাতায় পুদিনা চা, জলপাইতে জলপাই চা,
রং চা, দুধ চা, যা পান করে মানুষ শুধু নাচে।
তুমি চা মহৌষধ, যা দিয়েছে আমাদের বিধাতায়,
স্বাদের চা, তোমায় ছাড়া জীবন বাঁচানো বড় দায়।
চা ইতিহাস বিস্তারিত বোঝা গেলেও স্বল্প পরিসরের লিখাটি দারুণ উপভোগ্য।
আপনার সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যে আমার এই নগন্য লেখা সূচিত হলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
বাহ্ নিতাই দা। আপনার অবজার্ভেশন দারুণ। বিশেষ করে চা বিষয়ে তো অবশ্যই।
যেই চা কোনও একসময় ইংরেজরা বিনা পয়সায় মানুষের হাতে উঠিয়ে দিয়েছিল, সেই স্বাদের চা ছাড়া এখন মানুষের সময় কাটে না শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি। সত্যি অবাক হবারই কথা।
মূল্য তালিকা থেকে চা এর গুণাবলী লিখে যাওয়া কম কথা নয়। অভিনন্দন নিতাই বাবু।
আপনাদের সুন্দর মূল্যবান মন্তব্য পেলে আরও লিখতে ইচ্ছে করে শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদা। কিন্তু সময়ের অভাবে তা আর পেরে ওঠতে পারি না। আমি সবসময় সময়ের সাথেই যুদ্ধ করে চলছি দাদা। সময় আমাকে কিছুতেই ছাড় দিতে চায় না। তাই দিনরাত যুদ্ধ করেই যাচ্ছি।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দাদা।
* বাহ! অসাধারণ, চা কাহিনী…
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ দিলওয়ার হুসাইন দাদা। আশা করি ভালো থাকবেন।
তেঁতুল আর জলপাই চাটা চাই
অবশ্যই হবে দাদা। তো একদিন আমাদের চোউধুরী বাড়িতে আসতে হবে।