রুগী সেজে ভিক্ষা

রুগী সেজে ভিক্ষা

ঘৃণিত এক পেশার নাম ভিক্ষা,
ধূলিসাৎ হয়ে যায় জাতির শিক্ষা।
তবু থেমে নেই ওদের ভিক্ষাবৃত্তি,
সবখানে চলছে ওদের কুকীর্তি।

ওরা সুস্থ সবল ভালো মানুষ,
টাকার লোভে হয়ে যায় বেহুশ।
সাজে অসহায়, রুগী, লেঙরা, অন্ধ,
ওদের এই সাজা কবে হবে বন্ধ?

ওরা অভাবী নয়, ওরা ভিখারি,
ওদের থাকতেও করে আহাজারি!
পরিশ্রম ছাড়া বিনা পুজিতে ব্যবসা,
তাই রুগীরভাব সাজতে কী সমস্যা?

______________________
২০/০১/২০১৯ইং
ছবি: এলাকার এক রাস্তা থেকে।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

6 thoughts on “রুগী সেজে ভিক্ষা

  1. ঘৃণিত এক পেশার নাম ভিক্ষা,
    ধূলিসাৎ হয়ে যায় জাতির শিক্ষা।

    সত্য কথারই চিত্রায়ণ ঘটেছে লিখাটিতে। শুভেচ্ছা মি. নিতাই বাবু।

    1. ওরা সমাজের মোটামুটি স্বাবলম্বী হওয়া স্বতেও এই ঘৃণিত কাজটাকে পেশা করে নিয়েছে। এটাই খুব দুঃখজনক! প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় দলেদলে এঁদের আনাগোনা । একেক দলে থাকে পাঁচ ছয়জন করে। আর এখন ভিক্ষাতো মাঝরাত পর্যন্তও অনেক ভিক্ষুক ভিক্ষায় নিয়োজিত থাকে। আমি মনে করি এটা ওদের দোষ নয়! এটা আমাদের দোষ। আমরা দেই বা দিচ্ছি কেন?

    1. দেখতে খারাপ লাগে। আবার সমসময় বিরক্ত হয়ে যাই শ্রদ্ধেয় দিদি। 

      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমি সময় পাচ্ছি নে। তাই ব্লগে বেশি আনাগোনা করতে পারছি না।

  2. অহরহ এমন কিছু আশেপাশে চোখে পড়ে। আমাদের মানবিকতা বা মনূষত্ব কোথায় ঠেকেছে জানি না। :(

    1. পুজি ছাড়া ব্যবসা বলেই, এই সহজ পেশায় এখন অনেকেই নিয়োজিত শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদা। কারণ, হাত পাতলেই পাওয়া যায়। আমরা তো বিশ্বের বড় দয়ালু, তাই।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।