বাঁচাও শীতলক্ষ্যা
আমাদের লক্ষ্যা নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বছরের বারোমাস নদীতে পচা পানি থাকে।
নদীতে নেই জেলেদের নৌকা মাছের আকাল,
কেউ আর করে না গোসল সকাল বিকাল।
মা বোনেরা নেয় না পানি কলসি ভরে,
পানের অযোগ্য তা করবে কেমন করে।
নদীতে বিষাক্ত পানি ময়লায় একাকার,
হয়েছে বেদখল নদীর এপার আর ওপার।
পাড়ে নেই ফসলের ক্ষেত, নেই পরিবেশ,
বিষাক্ত পানিতে সব করে দিলো শেষ।
কালো কুচকুচে পানি তার পচা দুর্গন্ধ,
নদীর সামনে গেলে দম হয়ে যায় বন্ধ।
পানির গন্ধে বাতাস কান্দে, কান্দে পশুপাখি,
মা কান্দে বোন কান্দে, রইল না কেউ বাকি।
আকাশ কান্দে ক্ষণেক্ষণে বাতাস কান্দে ফুঁপিয়ে,
কৃষক কান্দে দিনেরাতে, কুকুর কান্দে লাফিয়ে।
বিড়াল কান্দে পাড়ে বসে, শকুন কান্দে গাছে;
দাঁড়কাকের কান্না দেখে, কাঠবিড়ালি নাচে।
পশু-পাখির কান্না দেখে, বলে শীতলক্ষ্যা নদী;
তোমরাও বাঁচবে না, আমি মরে যাই যদি।
শীতলক্ষ্যা আমাদের জাতিয় জীবনে একটি দুঃখজনক দূর্ভাগ্যের নাম। এর অভিশাপ আশে পাশে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্পষ্টতই আসবে।
আমরা এই শীতলক্ষ্যা নদীর পচা পানি পান করেই জীবনধারণ করছি । বর্তমানে দেশের নদীগুলোর দায়িত্বভার নদী কমিশনকে দিলেও, আমাদের শীতলক্ষ্যা নদীটির দিকে কমিশন ফিরেও তাকাচ্ছে না। দেখারও কেউ নেই।
বাস্তবতা নিয়ে কবিতাটি অনেক ভালো লাগলো
শ্রদ্ধেয় দাদা, আমরা এই শীতলক্ষ্যা নদীর পচা পানি পান করেই জীবনধারণ করছি । বর্তমানে দেশের নদীগুলোর দায়িত্বভার নদী কমিশনকে দিলেও, আমাদের শীতলক্ষ্যা নদীটির দিকে কমিশন ফিরেও তাকাচ্ছে না। দেখারও কেউ নেই। তাই প্রতিনিয়ত নারায়ণগঞ্জবাসী নানারকম রেগে আক্রান্ত হচ্ছে।
শীতলক্ষ্যা নদী'র জন্য মনটা কেঁদে উঠলো।
শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি, আমরা এই শীতলক্ষ্যা নদীর পচা পানি পান করেই জীবনধারণ করছি । বর্তমানে দেশের নদীগুলোর দায়িত্বভার নদী কমিশনকে দিলেও, আমাদের শীতলক্ষ্যা নদীটির দিকে কমিশন ফিরেও তাকাচ্ছে না। দেখারও কেউ নেই।
প্রশাসন কতটা উদ্যোগ নেবে জানিনা, আপনারা যারা স্থানীয় রয়েছেন দেখুন না শীতলক্ষ্যা বাঁচাতে একীভূত হতে পারেন কিনা।
শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদা, আমরা এই শীতলক্ষ্যা নদীর পচা পানি পান করেই জীবনধারণ করছি । বর্তমানে দেশের নদীগুলোর দায়িত্বভার নদী কমিশনকে দিলেও, আমাদের শীতলক্ষ্যা নদীটির দিকে কমিশন ফিরেও তাকাচ্ছে না। দেখারও কেউ নেই।