আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু
রোগের নাম ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর! যা মশা বাহিত রোগ। এই রোগ আরও অনেক বছর আগেও একবার এদেশে দেখা দিয়েছিল। সে সময় এই ডেঙ্গু জ্বর বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অল্প ক’দিন পরই বিদায় নিয়েছিল। সেই ডেঙ্গু এখন দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। সাথে জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক! কারোর সামান্য জ্বর হলেই মনে করে থাকে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। মনের ভেতর ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে, ডাক্তার প্রথমে বলে ডেঙ্গু জ্বর আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। ডাক্তারের কথা শুনে রুগীর অভিভাবক আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে।
এরপর কিছু লোভী ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন পাবার লোভে প্রেসক্রিপশনে আরও দুই তিনটে পরীক্ষা-সহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঠিকানা লিখে দেয়। আবার অন্যকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করলে হবে না। ডাক্তার যেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঠিকানা লিখে দিয়েছে, রোগের পরীক্ষা সেখান থেকেই করতে হবে। সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রুগীকে নিয়ে গেলে ডেঙ্গু জ্বর-সহ আরও দু’একটি পরীক্ষা করতে লাগে ২১০০ টাকা। যা একজন গরিব মানুষের জন্য মরার উপর খরার ঘা। তবুও অতি কষ্টে ধারদেনা করে রোগমুক্তির আশায় ডেঙ্গু নামের রোগের চিকিৎসা করে মনের আতঙ্ক দূর করছে।
আসলে এই সামান্য মৌসুমি জ্বরে সত্যি কি রুগীর ডেঙ্গু জ্বর হতে পারে? সেটা আর বলতে পারবে কে? তা কেবল ডাক্তারই জানে। এদেশে স্বর্ণকারদের স্বর্ণ চুরি যেমন কেউ ধরতে পারে না, ডাক্তারের তেলেসমাতি ধান্ধাও কেউ ধরতে পারে না। তাই আমরা সবাই বোকারাম সেজে, মনের ভেতরে বর্তমান সময়ের ডেঙ্গু আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছি। আসলে যা রটে তার সামান্য কিছুও যদি ঘটে, তাতেই আমরা একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়ি।
ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা না করে শুধু হায় হায় করতে থাকি। দেশের যে-কোনও পরিস্থিতিতে হায় হুতাশ না করে, আমাদের ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা উচিৎ বলে মনে করি।
ডেঙ্গু আতঙ্কে আমাদের ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা উচিৎ মনে করি।
স্বাভাবিক জ্বর হয়েছে, ডেঙ্গু হয়নি। তবু মনে করছে ডেঙ্গু। শরণাপন্ন হচ্ছে ডাক্তারদের। কিন্তু ওরা যে জবাইওয়ালা কসা। সুযোগ ফেলেই কোপ মারে। মারছেও বর্তমা।
আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু স্বীকার করি। তবে কোনক্রমেই গুজব নয় এটা সরকার মানেন না।
গুজবের কথা বলছি না দাদা। বলছি, বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু আতঙ্ক। সামান্য জ্বর হলেই বলে ডেঙ্গু।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবার ছুটি বাতিল।
শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় স্বপরিবারে গেছেন মালয়েশিয়ায়!
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় ডেঙ্গু ভয়ে আক্রান্ত হয়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছে। কাজটা তিনি ভালো করেননি দিদি।
সচেতনতা খুবই জরুরি
ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করাটাই দরকার বলে মনে করি।
ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। হোমিওপ্যাথিতে ডেঙ্গুর প্রতিশেধক ও চিকিৎসা আছে। যারা আগ্রহী তারা দ্রুত যোগাযোগ করুন।
ফোন: 01734-624907 (শহিদুজ্জামান, উত্তরা, ঢাকা)
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা। ফোন নাম্বারটা সংগ্রহে রাখলাম। অনেক উপকারে আসতে পারে।
আতংক দূর করতে হবে আগে। বিপদে এলোমেলো হওয়া চলবে না।
সামান্য জ্বর হলেই বলে ডেঙ্গু হয়েছে। বর্তমানে যা হচ্ছে, এমনই বেশি দেখা যাচ্ছে দিদি। এটা একরকম গুজব বললেও চলে।
শেষ কথাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের ধৈর্য বলতে নেই। আমরা হুজুগে বাঙালি, গুজবে বিশ্বাসী দিদি।
আর আতংকিত হতে চাই না দাদা।
ছেলেধরা গুজব শেষ হতে-না-হতেই শুরু হয়ে গেল, ডেঙ্গু ডেঙ্গু খেলা।
এ ব্যাপারে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোলকাতার মেয়র কিভাবে সমস্যা নিরসন করেছেন সেটার পরামর্শ নিতে পারে। ফল ভালো পাবে।
আমাদের দেশে কে শুনে কার কথা দাদা! আমরা সবাই এক একজন মাদবর। আমরা কারোর পরামর্শ গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক।