ইদানীং দেখা যাচ্ছে ধর্ষক, লম্পট, পায়ুকামী কোনো মোল্ল অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদেরকে বলা হচ্ছে তারা আলেম নয়। তারা আলেম বেশে মসজিদ মাদ্রাসায় প্রবেশ করে অপকর্ম করে ইসলামের বদনাম করছে। অথচ কিছুদিন আগেও বলা হতো, আলেমদের অপরাধ গোপন করতে। এগুলো ফেসবুকে প্রকাশ না করতে। এ জন্য তারা হাদিসের অপব্যবহার পর্যন্ত করেছে। তারা বলেছে, এক মুসলিমের অপরাধ গোপন করলে নাকি পরকালে আল্লাহ তার অপরাধ গোপন করবেন। এটা ঠিক ঐরকম ধর্ষকদের ট্রিক্স এর মতোই মনে হয় যারা ধর্ষণ বলাৎকার করার সময় ভিক্টিমের প্রতি পরকাল ও আল্লাহর ভয়কে কাজে লাগাত। অর্থাৎ ওস্তাদের কথা না শুনলে পরকালে জাহান্নামের আগুনের ভয় দেখানো আর ওস্তাদদের পাপ গোপন করার নীতি একই সূত্রে গাঁথা।
ধর্ষকরা আলেম নয়- এবার এ বিষয়ে আসি। দশ বছর, বিশ বছর একজন ব্যক্তি মসজিদে খতিবগিরী করলো, মাদ্রাসায় মুহতামিমের পদে থেকে ছাত্রছাত্রীদের কোরান শিক্ষা দিল, নুরানী চেহারা নিয়ে পরের বাড়ি খেলো, ঘাড় মোটা করলো- সে ব্যক্তি আলেম না হলে তবে আলেম কোন বেটা? এতদিন আলেমদের পাপ গোপন করার কথা বলে এসে এখন যদি বলেন তারা আদৌ আলেম নয় তবে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ালো? এভাবে আর কত পিছলাবেন ভাই?
ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত আপনিই তাকে আলেম মনে করে আপনার বাবা মায়ের জানাজা পড়িয়েছেন, বিয়ে করেছেন তাদের মাধ্যমে, সন্তানের নাম রেখেছেন তাদের কাছ থেকে। আকিকাতে খাসি জবাই করে মাথা খাইয়েছেন ঐ আলেমকেই। আর আজ সে আলেম থেকে বাতিল হয়ে গেল? ভবিষ্যতের নন আলেম (ধর্ষক, বলাৎকারকারী) যে এখন আপনার কাছে আলেম হিসেবে গৃহিত হচ্ছে না, আপনার বাড়ি যে ভালো ভালো খাচ্ছে না তার নিশ্চয়তা কি? সারাজীবন সম্মান করে এসে দেখলেন আসলে বেটা একটা ধর্ষক, লম্পট, বলাতকারকারী কওমে লুতের সদস্য- তখন ব্যাপারটা কি রকম দাঁড়াবে?
আপনি বলতে পারেন আলেমরাও মানুষ। তারাও অপরাধ করতে পারে। কিন্তু আমি বলি, আসলে তারা আলেমও না, মানুষও না। ওরা অবিশ্বাসী। না হলে প্রতিদিন কোরান পাঠ করে, পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে কীভাবে বাচ্চা বলাৎকার করে? ওরা জানে না এটা কত বড় পাপ? ওরা জানে না এই অপরাধে কওমে লুত নামে একটা পুরো কওমকে আল্লাহ জমিন উল্টিয়ে ধ্বংস করেছেন? সে ঘটনা জেনে কেবল অবিশ্বাসী হলেই একই অপরাধ দিনের পর দিন করে যাওয়া সম্ভব।
আরও একটা কারণ আছে। ওরা অপ্রাকৃতিক জীবন বেছে নিয়েছে। খ্রিষ্টানদেরকে যেমন আল্লাহ সংসার ত্যাগী হওয়ার আদেশ দেননি, কিন্তু তারা সেই বৈরাগ্যই গ্রহণ করে তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এটা সোজা কথা নারে ভাই। কত ঋষি-মুনি বনে জঙ্গলে গিয়ে বৈরাগ্য নিয়ে কামনার যন্ত্রনায় ছটফট করেছে, কামনা রোধ করতে কত সাধনা করেও ব্যর্থ হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আর তুমি বেটা কোন শালা? আল্লাহর নিয়মকে লঙ্ঘন করে ওরা যেমন পারেনি, তেমনি তথাকথিত ধার্মিক শ্রেণি নারী সংসর্গ বাদ দিয়ে অপ্রাকৃতিক জীবন গ্রহণ করে নিয়েছে তারাও পারছে না, পারবেও না। উলটো তাদের মনে বিকৃত যৌনতা প্রবেশ করেছে। নদীকে বাঁধ দিলে যেমন তা লোকালয় উপচে পড়ে, এদের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। অপ্রাকৃতিক জীবনধারা তাদেরকে যৌনকামনায় সর্বদা তিরতির করে কাঁপতে থাকা অসুস্থ মানুষে পরিণত করেছে। যৌন চিন্তা এদেরকে আচ্ছন্ন করে দিয়েছে। মেয়েদের দেখলে এরা যে মন্তব্য করে বা মেয়েদের নিয়ে এদের চিন্তা যে লেভেলের তা যদি কোনো প্রকারে ভিজ্যুয়াল করা যেত তবে দেখা যেত চারপাশ কমনার লালায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এরা এমনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কওমে লুতের অপরাধ মসজিদ মাদ্রাসার মতো পবিত্র স্থানে বসে করে যাচ্ছে। এদেরকে সুস্থ দাবি করার মানুষ কেবল তারাই, যারা তাদের মতো অসুস্থ।
ধর্ম কখনোই মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না। বরংচ ধার্মিকদের মধ্যে থেকেই আমরা অনেক বড় বড় অপরাধী মানবতাবিরোধী শুয়োর, শিশুকামী ধর্ষক দেখেছি। ধর্ম হলো অনেক রূপকথা দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে কোনো কিছু না করাতে উৎসাহিত করা মাত্র যেটা প্রাপ্তবয়স্কদের মানসপটে প্রভাব রাখতে অকার্যকর- মনোবিজ্ঞানে এটা বহুভাবে প্রমানিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইমাম আলেমদের কারসাজী শিশুকামীতা ধরা খেলে তখন তাকে অবিশ্বাসী মানতে হবে এটা কেমন হবে? যেখানে উক্ত ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে করে ৯ বছর বয়সে প্রিকোসিয়াস পুবার্টি বা ম্যানস্ট্রুয়েশন দেখিয়ে তার সাথে সহবাস অথবা ১.৫ বছরের হামাগুড়ি খাওয়া উম্মে ফাদলকে বিয়ে করার কামনার সাথে কি সামন্জস্যতা রাখে না?
সমস্যা গোড়াতেই, এটা ক্যাথোলিক চার্চগুলো বুঝেছে বলেই ভ্যাটিকান চার্চ তাদের ধর্মটাই সংস্করন করে। সেখানে মধ্যযুগীয় এই ধর্মের অকার্যকরী ও বর্বর দিকগুলোর সংস্কারের প্রয়োজন সময়ের ব্যাপার মাত্র
বর্তমানে আপনি যেটাকে ধর্ম বলে অস্বীকার করেছেন আসলেই সেটা ধর্ম নয়। ধর্ম হলো জীবনের নাম। ধর্ম বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধানের নাম। তুমি ক্ষুধার্ত? ধর্ম তোমাকে খাবার দেবে। তুমি বাস্তুহীন? ধর্ম তোমায় থাকার জায়গা দেবে। তুমি নির্যাতিত? ধর্ম তোমার অধিকার ফিরিয়ে দেবে। যদি না দেয় তবে সেটা ধর্ম নয়। স্রষ্টা ধর্ম পাঠিয়েছেন মানুষের বাস্তব জগতের সমস্যার সমাধান করার জন্য, কোনো কল্পিত জগতের মরীচিকার দিকে তাকিয়ে থেকে বাস্তব দুনিয়ায় অক্ষম-দুর্বল-পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকার জন্য নয়।
সমগ্র পৃথিবী অন্যায়, অবিচার, রক্তপাত, হানাহানি, স্বার্থপরতা, পরশ্রীকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষ, অহমিকা ও পাশবিকতায় ছেয়ে গেছে যেদিন, সেদিনই বর্তমানের তথাকথিত ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ, উপাসনালয়, আচার-অনুষ্ঠান, প্রথা ও & রীতি-নীতি-পরমপরা মিথ্যে হয়ে গেছে।
ধর্ম সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য ছোট্ট এই ভিডিওটা দেখার অনুরোধ করছি –
youtu.be/WnpgkNFZSJE
সমকালীন প্রেক্ষাপটের আলোকে আপনার মতামত জানলাম মি. সালজার রহমান সাবু।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
ধর্ষকরা আলেম নয়।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
আমাদের দেশটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদশের রাস্তাঘাটে আরবি লেখাযুক্ত কোনও কাগজের টুকরো পড়ে থাকলে কেউ সেই লেখার উপর পা রাখে না, গুনাহ হবে বলে। সেই আরবি শিক্ষা দিয়ে আসছে এদেশের আলেমসমাজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসাজিদের ঈমান সাহেবরা। সেই শিক্ষকরাই আবার তাঁদেরই ছাত্র-ছাত্রীদের যৌনতা কেড়ে নিচ্ছে। বিষয়টি একেবারেই ঘৃণিত ও হাস্যকর। আরও লেখার বাকি ছিল, কিন্তু লিখলাম না। কারণ, আমি এদশে গো-মূত্র খাওয়া সংখ্যালঘু একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু মানুষ তাই।
প্রকৃতপক্ষে কথাটি হিন্দু ধর্ম নয়, সনাতন ধর্ম। হিন্দু ধর্ম বলে কোনো কথা বেদ, পুরাণ, গীতা, উপনিষদ কোথাও নেই। তবু বোঝার সুবিধার্থে বলা যাবে না, এমন নয়, কিন্তু সনাতন শব্দের যে তাৎপর্য তা হিন্দু শব্দে নেই। সিন্ধু শব্দ থেকেই হিন্দু শব্দটি এসেছে।
আমি বলছি, সনাতন ধর্ম আলাদা কোনো ধর্ম নয়, ইসলামেরই একটি সংস্করণ। সনাতন যা কোর’আনে বর্ণিত দীনুল কাইয়্যেমা তা। হিন্দু-মুসলিম একই পিতা-মাতার সন্তান, হিন্দুরা বলছে আদম ও হব্যবতী, মুসলিমরা বলছে আদম ও হাওয়া। তাহলে এই যে বিভেদ, এটা কত বড় মূর্খতা! আমরা বিশ্বাস করি প্রকৃত সত্য জানলে এই বিভেদ চিরস্থায়ীভাবে দূর হবে এনশা’আল্লাহ।
অবশ্যই
পড়লাম দাদা।
যিনি ধর্ষণ করেন তাকে ধর্ষক বলা হয়।আমরা তাকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করি না তখন।আলেমের ক্ষেত্রেও একই।কারন আলেম অর্থ জ্ঞানী ব্যক্তি।যে ব্যক্তি জ্ঞানী হয়ে এধরনের ঘৃণ্য অপরাধ করে সে আলেম এটা আমি বিশ্বাস করি না।