সময় সময় শুনি ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। কেউ বলে, আমার আইডিতে হ্যাকারের নজর পরেছে। তাঁদের প্রতি আমার ছোট্ট একটা প্রশ্ন! আপনি কি কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান? নাকি রাষ্ট্রপতি? নাকি কোনও ভিআইপি? হ্যাকাররা তো কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও আইডি হ্যাক করতে শুনিনি। তাহলে হ্যাকাররা আপনার আমার আইডি হ্যাক করতে যাবে কেন? হ্যাকারদের কি বাপের শ্রাদ্ধ লেগেছে যে, আপনার আইডি হ্যাক করার? হ্যাকাররা আপনার আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কি বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে? তাও তো মনে হয় না! শুনেছি হ্যাকাররা অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে জমানো অর্থ চুরি করে নিয়ে যায়। আমার আপনার ফেসবুক আইডিতে কি কোনও জমানো টাকা পয়সা আছে? তাহলে হ্যাকাররা আমার আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে যাবে কেন? এটা ভুয়া খবর!
এবার মূল খবরে আসি। মূল খবর হলো আমার আপনার আইডির নির্ধারিত জায়গা শেষ। এটাই হ্যাক বা হ্যাঙ্ক। এর কারণ বলতে যতটুকু জানি তা হলো, আপনি যখন ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, তখন ব্যবহারের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আপনাকে নির্ধারিত কতটুকু জায়গা দিয়েছিল। যা দিয়ে আপনি বেশ কয়েকবছর ছবি, ভিডিও, লেখা ইচ্ছেমতো আপলোড এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করেছিলেন। দিন নেই, রাত নেই সর্বক্ষণ ফেসবুক নিয়েই থেকেছেন। এভাবে একসময় আপনাকে ফেসবুক থেকে দেওয়া নির্ধারিত জায়গা শেষ যায়। তখই আইডি হ্যাঙ্ক হয়ে যায়। মানে আইডি নিস্তেজ হয়ে যায়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায়, মোবাইল ফোনের বা ল্যাপটপের যেমন Ram বা Rom থাকে তেমন। এবার বলুন তো দেখি, মোবাইল ফোনের স্টোরে জায়গা না থাকলে কেমন হয়? নিশ্চয়ই মোবাইল ফোনটা বারবার বন্ধ হয়ে যায়! তাহলে এবার বুঝতেই পারছেন যে ফেসবুক হ্যাক বা হ্যাকিং কাকে বলে? মানে ব্যক্তির আইডি’র জায়গা শেষ।
তারপরও যদি বলেন যে আইডি হ্যাক হয়েছে বা হ্যাকারদের নজর পরেছে। তাহলে বলবে নো চিন্তা। এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ হলো আমাদের চেয়ে বেশি চিন্তা ফেসবুকের। ফেসবুক চায় না যে আপনার আমার আইডি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাক। ফেসবুক চায় আমি আপনি সারাক্ষণ ফেসবুক নিয়েই যেন থাকি। যার কারণে ফেসবুক পৃথিবীর সবার জন্য উম্মুক্ত করে রেখেছে। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবার জন্য বিনা খরচে, বিনা পয়সায় ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রেখেছে। ফেসবুক চায় দুনিয়ায় সকল মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করুক। ফেসবুক চায় না, ফেসবুক থেকে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিক।
এরপরও কি ফেসবুক চাইবে যে আপনার আমার আইডিটা বন্ধ থাকুক? তা কোনও দিনও না। তার জন্য আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য মানে কয়েকদিনের জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মাঝেই ফেসবুক আপনার আইডির জায়গা আরও বড় করে দিবে। যাতে আপনি আরও বেশ কয়েকবছর অনায়াসে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন এবং যাতে আপনার আর কয়েকবছরের মধ্যে কোনও সমস্যা না হয়। মনে রাখবেন, কোনও সময় আপনার ফেসবুক আইডি আপনা-আপনি নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ বা হ্যাঙ্ক বা হ্যাক হয়ে গেলে, বিশেষ কোনও বাজে চিন্তা না করে; ফেসবুককে একটু সময় দিবেন। তারপর দেখবেন দুইএক দিনের মধ্যেই আপনার আইডি আপনা-আপনি সচল হয়ে যাবে বলে আশা করি।
পোস্টের তথ্য নিজের আইডিয়া থেকে।
লেখাটি পড়লাম আপনার নিজের আইডিয়া থেকে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
বর্তমানে এদেশে মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, বিচারক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শ্রমজীবী, প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সবাই ফেসবুক টুইটার ব্যবহার করে থাকে। তাদের নিজস্ব পেইজও আছে। এই পেইজগুলো তাঁদের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করে থাকে। আজ পর্যন্ত শুনিনি ভিআইপি ব্যক্তিদের কোন আইডি বা পেইজ হ্যাকড হয়েছে। সেখানে আমি তো এক চুনোপুঁটি। আমার আইডিতে আর কী এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে যে সেই তথ্য হ্যাকারগণ চুরি করে নিয়ে সারাবিশ্বে প্রচার করে দিবে? ভুয়া দা।। ফেসবুক হ্যাকড বলতে কিছু নেই। আছে সাময়িক সমস্যা মাত্র।
আপনার মতামত পড়লাম মি. নিতাই বাবু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কিছু বলার ছিলো। মানে আমার নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আমি আবার ফিরে আসবো। সারাদিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলাম। এই মাত্র ফিরলো।
19.08.2019 Mon 21:58
Dr. Aziz Razu
আমি : সালাম রাজু ভাই। আমি ভালো আছি। আশা করবো আপনিও ভালো আছেন।
আমি : বাসায় আছি।
আমি : বলুন রাজু ভাই।
আমি : রাজু ভাই। বাসায় তো টাকা থাকে না। আমি দুঃখিত রাজু ভাই। বলেন তো কি করতে পারি !!
আমি : রাজু ভাই। টাকা ম্যানেজ করছি।
আমি : আপনি চেম্বারে নাই ?
আমি : আমাদের এদিকের বিকাশ এজেন্টরা সব বন্ধ। মাসুদ যদি থাকে আমার বাসার দিকে আসতে বলেন প্লিজ।
আমি : আমার নাম্বারে ফোন দেন। রাজু ভাই আপনার আইডি হ্যাক হয়নি, আমাকে কল দিয়ে প্রমাণ দিন।
Chat conversation end. আমি ব্লকড।
সাথে সাথে তাঁর নাম্বারে ফোন দিলাম। হৈচৈ এর শব্দ পেলাম। জানতে চাইলাম ঘটনা কি। কোন সমস্যা ? তিনি জানালেন, তাঁর আইডি অলরেডী হ্যাকড। তিনি তার একাউন্টে ঢুকছেন আর লগআউট হয়ে যাচ্ছেন। পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সুযোগই পাচ্ছেন না।
_______________________
মি. নিতাই বাবু। এই ঘটনাকে কি বলবো বলুন দেখি।
আগের কথপোকথন হচ্ছিল বিকাশে টাকা চাওয়া বা পাঠানো নিয়ে। এর পরবর্তী হ্যাকড। এখন আমি জানতে চাইবো, এটা কি ফেসবুক হ্যাকড? নাকি বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড? যদি ফেসবুক হ্যাক হয় তো সমস্যা আমার লেখায় উল্লেখ করা বিষয়গুলো। হ্যাকড হওয়া ব্যক্তি তাড়াহুড়ো করে দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট যদি না করে থাকে তো তাঁর হ্যাক বা নিস্ক্রিয় হওয়া আইডি দুই তিনদিনের মধ্যেই সচল হয়ে যাবার কথা। তা আমি নিজের এরকম দুই তিনবার প্রমাণিত।
বর্তমানে এদেশে মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, বিচারক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শ্রমজীবী, প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সবাই ফেসবুক টুইটার ব্যবহার করে থাকে। তাদের নিজস্ব পেইজও আছে। এই পেইজগুলো তাঁদের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করে থাকে। আজ পর্যন্ত শুনিনি ভিআইপি ব্যক্তিদের কোন আইডি বা পেইজ হ্যাকড হয়েছে। সেখানে আমি তো এক চুনোপুঁটি। আমার আইডিতে আর কী এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে যে সেই তথ্য হ্যাকারগণ চুরি করে নিয়ে সারাবিশ্বে প্রচার করে দিবে? ভুয়া দা।। ফেসবুক হ্যাকড বলতে কিছু নেই। আছে সাময়িক সমস্যা মাত্র।
ফেসবুকের আইডি হ্যাক হওয়ার আর কয়েকটি কারণ রয়েছে। সাইবার ভদ্র অপরাধীরা কৌশলে অনেকের আইডি হ্যাক করতে পারেন।
তা আমি বিশ্বাস করি না। কেননা, যাঁরা হ্যাক বা হ্যাকার, তাঁরা এসব ফেসবুক আইডির দিকে নজর দেয় না। আর দিবেই বা কেন? এতে লাভ কী? হ্যাকারা বড়সড় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাকড করতে পারে বা করেও। এছাড়া ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটার এসবের দিকে তাকায় না।
যুক্তিযুক্ত আলোচনা। অন্যের ডিভাইস থেকে নিজের আইডিতে উঁকি দিয়ে নিজের পাসওয়ার্ড রেখে এলে আইডি অপব্যবহার হতেই পারে। সেটাকে হ্যাক বলা যাবে না।
আপনার আলোচনাও যুক্তিযুক্ত দাদা। সমস্যা এই দুই একের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এছাড়া হ্যাকড বলতে আমি বিশ্বাস করি না।
ফেসবুক পৃথিবীর সবার জন্য উম্মুক্ত করে রেখেছে। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সবার জন্য বিনা খরচে, বিনা পয়সায় ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রেখেছে। ফেসবুক চায় দুনিয়ায় সকল মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করুক। ফেসবুক চায় না, ফেসবুক থেকে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিক।
হ্যাঁ দাদা, তাইতো! পাসওয়ার্ডের একটা অক্ষর ভুল হলে নিজেই লগইন করতে পারি না। আর ফেসবুকও কারোর পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখে না। তাই বলছি হ্যাক হ্যাক বলে চিল্লাচিল্লিটাই বৃথা।
আলোচনাটি বেশ উপভোগ্য। পড়লাম দাদা।
হ্যাঁ শ্রদ্ধেয় দিদি, আমি ফেসবুক হ্যাক বলতে পুরোপুরি অবিশ্বাসী।
যদিও ব্যক্তিগত মতামত তথাপি বলি ফেসবুক আইডি হ্যাক পুরোদমে ভুয়া নয়।
বর্তমানে এদেশে মন্ত্রী, এমপি, ডিসি, বিচারক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শ্রমজীবী, প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ সবাই ফেসবুক টুইটার ব্যবহার করে থাকে। তাদের নিজস্ব পেইজও আছে। এই পেইজগুলো তাঁদের লোকজন দিয়ে পরিচালনা করে থাকে। আজ পর্যন্ত শুনিনি ভিআইপি ব্যক্তিদের কোন আইডি বা পেইজ হ্যাকড হয়েছে। সেখানে আমি তো এক চুনোপুঁটি। আমার আইডিতে আর কী এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে যে সেই তথ্য হ্যাকারগণ চুরি করে নিয়ে সারাবিশ্বে প্রচার করে দিবে? ভুয়া দা।। ফেসবুক হ্যাকড বলতে কিছু নেই। আছে সাময়িক সমস্যা মাত্র।
ধন্যবাদ দাদা। আসলে ফেসবুক হ্যাকড মানে অনকের মনের ধারণা। ফেসবুক হ্যাকড বলতে কিছু নেই।