-ও দিদি,দিদি…
-কে, রাজুর মা?
-হ্যাঁ গো,আমি। দাদা বাড়ি আছেন?
-হ্যাঁ, আছেন।
-আমার খাতাটা একটু হিসেব করতে হবে।
-এসো, বসো।
বারান্দায় এসে মেঝেতে বসে রাজুর মা। পাশের বাড়ির দাসের বউ।
বিড়ির খাতায় কত টাকার কাজ হয়েছে সেই হিসেব করতে এসেছে।
দুপুরে খেয়েদেয়ে ভোলা একটু শুয়েছে। পাশে বউও। ছেলেমেয়ে দুটো স্কুলে।
দাসের বউটা ভারি মিষ্টি। বড্ড নাদুসনুদুস। হলুদ শাড়ি পরে যখন বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, চুপিচুপি তাকিয়ে থেকে ভোলা মনেমনে কী যেন চেটে যায়। কিংবা যখন বিড়ির কুলো নিয়ে ভোলার বাড়ির সিঁড়ির পরে বসে। তার বউয়ের সাথে গল্প করে। তখন ভোলা গোপনে বসে কল্পনার মউয়ে জিভ চোষে।
বউ বলে- শুনছো, তুমি একটু রাজুর মায়ের বিড়ির খাতাটা হিসেব করে দিয়ে আসো না।
ভোলা বারান্দায় যায়।।
হলুদ শাড়ি আর হাতাকাটা ব্লাউজ। উঃ অসহ্য! ভোলা ভাবে- সুপ্রিমকোর্ট তো পরকীয়ার পক্ষে রায় দিয়েই দিয়েছে। ভয় কী? তাছাড়া স্বামীটাও তো থাকে কেরালায়। একবার এই সুযোগে… বউটাও শুয়ে আছে ঘরে।
ভোলা পাশে গিয়ে বসে।
– কই, দাও।
মুচকি হাসে দাসের বউ- দেখুন তো দাদা, ক’টাকা হলো এ’মাসে বিড়ি বেঁধে।
খাতা এগিয়ে দিতে হাত বাড়ায় বউটা।
কী গোলগাল হাতখানা। একটু চেপে…
ভোলা ঘরে শোয়া বউয়ের দিকে একবার তাকায়। না, শুয়েই আছে। আরো একবার দেখে। তারপর ধীরেধীরে লোভার্ত হাতটা বাড়ায়।
– আমার খাতাটাও তাহলে একবারে হিসেব করে দাও।
পরকীয়া-প্রত্যাশায় ভোলা এতই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল, বউ কখন যে গুটিগুটি পায়ে তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতেই পারেনি। বউয়ের দিকে ভোলা আশাহত দৃষ্টিতে তাকায়।
স্বামির বাড়িয়ে দেওয়া হাতে নিজের খাতাটা ধরিয়ে দেয় ভোলার বউ।
হাহাহা। ভালো সিনারিও।
ধন্যবাদ দাদা
এমনিতেই আপনি ভাল লেখেন। আজ এক্কেবারে আলাদা ধরণের অণুগল্প পড়লাম। অভিনন্দন কবি দাদা।
প্রীত হলাম। ধন্যবাদ।
পাশের বাড়ির বৌ বলে কথা।
ঠিক। ধন্যবাদ।
পাশের বাড়ির দাসের বউ।
হ্যাঁ। ধন্যবাদ।