ছাত্রলীগে ছাত্র কোথায়?
সবাই দেখি বুড়ো বুড়ো,
এই বয়সে কি ছাত্র হয়?
ছাত্র, দেখতে হবে হিরো!
হিরো তো নেই ছাত্রলীগে
সবাই চল্লিশের উপরে,
এটা কী করে হয় ছাত্রলীগ?
ভাবতে গেলে মাথা ঘুরে!
যুবক কোথায় যুবলীগে?
যা করছে তাঁরা যুগে যুগে,
যুবকের বংশ নেই যুবলীগে
এগুলো নাচে রাষ্ট্রীয় হুজুগে।
ওরে মারে তাঁরে মারে
নিজের নামে সম্পদ করে,
ক্লাবে ক্লাবে ক্যাসিনো গড়ে
শেষমেশ ওঁরা ধরাও পড়ে।
শ্রমিকলীগে নেই তো শ্রমিক
সবাই হলেন দামী বণিক,
নামধারী নেতা দলের প্রতীক
লুটে নিচ্ছে কোটির অধিক।
শ্রমিকলীগ নেতার শ্রমিকেরা
পরিশ্রম করে হচ্ছে দিশেহারা,
শ্রমিকের পাওনা খাচ্ছে তাঁরা
বাংলার শ্রমিক হচ্ছে সর্বহারা।
কৃষকলীগে কৃষক কোথায়?
পালালো নাকি ডোবা নালায়?
কৃষক থাকবে তো জমিজমায়
কৃষকলীগ নেতারা থাকে অট্টালিকায়।
কৃষক মরে জমি চাষে
কৃষক নেতা ঘুরে রাজা সেজে,
কৃষকের ভর্তুকি নিজের কাজে
লাগাচ্ছে নেতায় সকাল সাজে।
এই হচ্ছে দেশের রাজনীতি
নিজের সম্পদ গড়ার মূলনীতি।
কোথাও কেউ নেই। অযোগ্যদের দখলে মূল্যবান সব স্থান। বৈসাদৃশ্য দেখার কেউ নেই।
এজন্যই আজ আমাদের এই দশা। দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা হলেও, বিশ্ব থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পিছিয়ে পড়ার পেছনে ওইসব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দায়ী করা যায়।
রাজনীতি মানে শুধু দমননীতি নয় কবি নিতাই বাবু। নিজের সম্পদ গড়ার মূলনীতি। চলমান অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ভুঁইভোঁড় নেতাদের টপ টু বটন আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার যন্ত্র ঝিমিয়ে পড়লে এর ফলাফল হবে বিপরীত।
ঠিক বলেছেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
বাংলাদেশের রাজনীতি অসভ্য রাজনীতি। দুঃখজনক।
এটা আসলেও সত্যি! তবে মাঝে মাঝে জনগণকে কিছু তেলেসমাতি দেখানোর জন্য সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরকম অভিযানের নামে চলে ভুয়া লোক দেখানো অভিযান। ক'দিন পর আবার যেই কপাল, সেই মাথা।
কুরাজনীতির এই দেশে সুরাজনীতি আছে বলে তো মনে হয় না।
বোস্কা মারার রাজনীতি দাদা। এখানে স্বার্থ ছাড়া কিছুই নেই।
লীগ লীগ আর লীগ। কোথাও তো সমন্বয় আছে বলে মনে হলো না। এ কেমন রাজনীতি?
শ্রদ্ধেয় কবি দিদি, আমাদের দেশের রাজনীতি মানে জনগণকে শূলে চড়ানো নীতি। আশা করি বুঝে নিয়েছেন!
সব জায়গায় দুষ্ট নীতির দুষ্ট মানুষ।
রাজনীতিতে একজনও ভালো মানুষ নেই দিদি। যদিও থেকে থাকে, তো অসতের জাঁতাকলে সেও অসৎ হয়ে যায়।