এক রাজার দেশে এক দরিদ্র কৃষক ছিল। জমিজমা যা-ই ছিল আর না-ই ছিল, কৃষকের এক টুকরো সোনা ছিল। সোনার টুকরো বলতে কৃষকের একটিমাত্র ছেলে। কৃষক যুবক কালে বিয়েসাদী করার পর এই সোনার টুকরো পেতে অন্তত ১২টি বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে ১৩ বছরের মাথায় মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ লীলায় কৃষকের ঘরে ফলল সোনা। সেই সোনার টুকরোর নাম সোনা না রেখে, নাম রেখেছে হিরা। হিরাকে দেখতেও হিরার টুকরোর মতোই দেখা যায়। কৃষকের আদরের ধন হিরা পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছেও ছিল আদরের। সবার কোলেকাঁখে আদরে আহ্লাদে হাঁটি হাঁটি পা পা করে একসময় হিরা বড় হয়ে উঠলো। স্কুলেও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে হিরা হিরার মতোই ছিল। এভাবে একসময় মেট্রিক পাস করে ফেললো। কলেজে ভর্তি হলো। হিরা খেলাধুলা যা-ই করতে, লেখা-পড়ার দিক দিয়ে ছিল খুবই মনোযোগী। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর রাতদুপুর পর্যন্ত হিরা বসা থাকে পড়ার টেবিলে।
একদিন সকালবেলা হিরা’র বাবা তাঁদের জমিজমা’র খাজনা দিতে যাচ্ছিল রাজার দরবারে। বাবার পরনে পরিষ্কার জামা-কাপড় দেখে হিরা জিজ্ঞেস করলো, ‘বাবা তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ ছেলে হিরার কথার জবাবে হিরা’র বাবা বলল, যাচ্ছি তো রাজদরবারে। আর এই যাওয়া তো আজকে নতুন নয় রে বাপ! প্রতিবছরই তো খাজনা দিতে যেতে হয়। কেন, তুই কি জানিস না?’ হিরা বাবার প্রশ্নের উত্তরে বলল, ‘মনে হয় দেখেছি অনেকবার। তবে নিজের পড়াশোনার ধান্ধায় তেমন একটা খেয়াল করিনি। তো বাবা, যেই রাজাকে তুমি খাজনা দাও। সেই রাজা’র রাজবাড়ীটা কোথায়?’ হিরা’র বাবা বলল, ‘সে-তো অনেক দূর বাবা! কেন, তুই কি রাজবাড়ী যাবি নাকি?’ ছেলে হিরা বলল, ‘যার মুলুকে থাকি, তাকে দেখাও একটা ভাগ্যের ব্যাপার-স্যাপার! তাই এখন দেখার খুবই ইচ্ছে জাগছে বাবা। না দেখলেও তো হচ্ছে না। একদিন আমি নিজেই তোমাদের রাজার দরবারে গিয়ে দেখা করে আসবো বাবা। তুমি এখন যাও।’ ছেলের কথা শুনে কৃষক হাসতে হাসতে রাজ-দরবারের উদ্দেশে রওয়ানা হলেন।
এক রাতে হিরা পড়ার টেবিলে বসে বসে ভাবছে! ভাবনা হলো ঐযে, খাজনা নেওয়া রাজা আর রাজদরবার এসব নিয়ে। সারারাত ভেবে রাত শেষে ভোরবেলা হিরা রাজাকে দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হলো। কোথায় রাজা আর কোথায় রাজার মুলুক, তা হিরা’র ছিল অজানা। মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করতে করতে একসময় হিরা রাজবাড়ীর সামনে পৌঁছে গেল। রাজবাড়ীর প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে গেইটে টোকা দিল। কোনও সাড়াশব্দ নেই। আবার টোকা দিল। তাও কোনও সাড়াশব্দ পেল না। সাড়াশব্দ না পেয়ে হিরা’র মনটা খারাপ হয়ে গেল। রাজ গেইটের সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো। এভাবে দুপুর শেষে বিকাল হয়ে গেল। আর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা হয়ে যাবে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে হিরা আর আজ বিড়িতে ফিরতে পারবে না ভেবে আবার নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলো। সারাদিন রাজবাড়ির সামনে থেকে সন্ধ্যার পর বাড়ি আসলো। রাত শেষে আবার ভোর হতে-না-হতে রাজার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলো। আগের দিনের মতো রাজ গেইটে টোকার পর টোকা দিয়েও যখন সাড়াশব্দ পাচ্ছিল না, তখন হিরা প্রতিজ্ঞা করল রাজাকে না দেখা পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে যাবে না। এতে গেইট আরও পাঁচদিন না খুললেও না। আর যে – সময় ই গেইট খুলুক, গেইটের ভেতর থেকে আগে যে-ই বের হবে, তাকেই এক থাপ্পড় মারা হবে। এতে করে জীবন যাক আর থাক, একটা হবেই। যেই ওয়াদা, সেই কাজ! হিরা রাজ গেইটের সামনে ভিখারির মতো বসে রইল।
এভাবে দুইদিন রাজবাড়ির গেইটের সামনেই পার হয়ে গেল। কিন্তু রাজার বাড়ির গেইট আরও খুলছে না। আর খুলবেই বা কেন! রাজবাড়ির গেইট খোলার একটা নিয়ম বাঁধা আছে। নিয়ম হলো, গেইট খুলবে দুই-তিন দিন পরপর। রাজার বাড়ির গেইট যে তিনদিন পরপর খোলে, তা আর হিরা’র জানা ছিল না। প্রতি শুক্রবার, সোমবার, বৃহস্পতিবার। আবার রবিবার, বুধবার ও শনিবার। এভাবে হিসাব করে তিনদিন পরপর গেইট খোলা হয়। হিরা এই নিয়মটা জানলেন রাজবাড়ীর পাশে থাকা এক লোক থেকে। তা কখন কোন টাইমে খোলা হয় তাও হিরে জেনে নিলেন। কেন এই নিয়ম, তাও জানলেন। নিয়মটা হলে রাজবাড়ীর বাজার এবং রাজ্যের কারোর কোনও নালিশ সালিশ করার জন্য এই নিয়মটা নির্ধারণ করা। সময় সকাল ৮টায় বাজার। ১০ থেকে দুপুর পর্যন্ত সালিশ নালিশ, দেন-দরবার। এরপর আবার দুইদিন গেইট বন্ধ। তা থাকুক বন্ধ! একসময় গেইট তো খুলবেই। এই ভেবে হিরা চুপচাপ রাজ গেইটের সামনেই বসে আছে। গেইটেই সামনেই হিরা’র দিন যাচ্ছে, রাত পোহাচ্ছে। নাছোড় বান্দা হিরা তাঁর ক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে, বসেই আছে খেয়ে না খেয়ে।
আবারও রাত পোহালো, সকাল হলো। হিরা চেয়ে আছে গেইটের দিকে! কখন গেইট খুলবে, সেই আশায়। সকাল ৮টার সময় রাজার উজির সাহেব সাথে করে এক চাকর বেটা সাথে নিয়ে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে গেইটের সামনে আসলো। প্রহরী গেইট খুলছে এমন শব্দ হিরা’র কানে এলো। হিরা তাঁর ডানহাত বাড়িয়ে রেডি হয়ে আছে। গেইটের ভেতর থেকে যার মাথাই আগে বের হবে তাকেই বসিয়ে দিবে এক থাপ্পড়! এই নিয়ত করে হিরা রেডি! এমন সময় গেইটের পকেট গেইট দিয়ে উজির বের হবার জন্য মাথা বাড়িয়ে দিতেই, ঠাস্ করে এক থাপ্পড় মেরে দিলো উজিরের গালে। উজির তো গালে ধরে মা-গো, বাবা-গো বলে ডাক চিৎকার শুরু করে দিল। উজিরের সাথে আসা চাকর দিলো এক দৌড়! গেইটের প্রহরী দৌড় দিলো রাজদরবারে দিকে। প্রহরী রাজদরবারে গিয়েই কাঁপতে কাঁপতে ধপাস্ করে পড়ে গেল। রাজা তাঁর সিংহাসন থেকে উঠে দাঁড়ালো। কী হয়েছে, কী হয়েছে শোরগোল পড়ে গেলো! প্রহরীকে দরবারে থাকা সবাই টানাটানি করে ওঠালেন।
তারপর রাজা ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘এই বেটা রামছাগল, কী হয়েছে বল!’ প্রহরী তখন কাঁপতে কাঁপতে বললো, ‘হু-হু-হুজুর, উজির সাব শেষ!’ প্রহরীর কথা শুনে রাজার চোখ উঠলো কপালে। রাজা তাঁর দুই চোখ বড় বড় করে বললো, এই বেটা ছাগল, ভালো করে বল কী হয়েছে?’ প্রহরী বললো, উজির সাহেব গেইট থেকে বাইর হবার সময় কে যেন ঠাস্ করে একটা থাপ্পড় মেরে দিল। সাথে সাথে উজির সাহেব মাটিতে পড়ে গেল। এতক্ষণে মনে হয় উজির সাহেব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে, ‘হু-হু-হুজুর। প্রহরী এসব বলতে বলতে উজির সাহেব গালে ধরে গেইটের চাকরের কাঁধে হাত রেখে রাজদরবারে হাজির হলো। রাজা উজিরের এই অবস্থা দেখে বলল, ‘এই কে আছিস! জলদি যাও! গেইটের সামনে যাকেই পাও ধরে নিয়ে আস! কার এতবড় সাহস! আমার উজিরকে থাপ্পড় মারে? ওকে আমার একটু দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। যাও তাড়াতাড়ি!’
রাজার হুকুম বলে কথা। হুকুম দিতে দেরি, যেতে আর দেরি নেই। চার পাঁচজন সিপাহী ঢাল-তলোয়ার নিয়ে দৌড় দিলো গেইটের দিকে। গেইট তখনো খোলা। সিপাহীরা দেখল গেইটের বাইরে একটা ছেলে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে। সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘এই ছেলে, আমাদের উজিরকে থাপ্পড় মারলো কে রে?’ হিরা হেসে বললো, উজির না বাদশা তাতো আমি চিনি না। তবে পাঁচ মিনিট আগে একজন লোক গেইট থেকে বের হবার সাথে সাথে আমিই থাপ্পড় মেরেছি।’ হিরা’র কথা শুনে সব সিপাহীরা ঘাবড়ে গেল। সিপাহীরা বলছে, ওরে বাপরে! বলে কী! উজিরকে থাপ্পড় মারার পরও এতো সাহসিকতা?’ ওমনি রাজার সিপাহীরা হিরাকে খপ্ ধরে ফেললো।
হিরা বললো, ‘আমার কি অপরাধ? আমাকে তোমরা এভাবে ধরলে কেন? ছাড়ো, হাত ছাড়ো বলছি! তোমাদের উজিরকে থাপ্পড় মেরেছি বলে আমাকে এভাবে ধরলে? আরে ভাইসব, তোমাদের রাজার তো কপাল ভালো। এখানে উজির না হয়ে রাজা হলেও থাপ্পড়টা রাজার গালেই পড়তো। ছাড় আমাকে। আমি নিজেই রাজার কাছে যাবো।’ হিরা’র কথা শুনে এক সিপাহী বললো, না, তোকে ছাড়া যাবে না। এটা রাজার হুকুম! চল আমাদের সাথে। হিরা বললো, ‘না আমি এভাবে যাবো না।’ আরেক সিপাহী বললো, ‘বেটা তুমি এভাবে যাবে না তো কীভাবে যাবে? প্রয়োজনে তোমাকে কাঁধে করে নিয়ে যাবো।’ এই বলেই চার পাঁচজন সিপাহী হিরার হাত পায়ে ধরে শূন্য করে নিয়ে চললো রাজদরবারের দিকে।
তখন হিরা সিপাহীদের কাঁধে দুই হাত রেখে হাসতে হাসতে বললো, ‘কি যে ভুল করেছি আমি! আগে জানলে তোমাদের উজিরকে আরও কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দিতাম। মাত্র একটা থাপ্পড় মেরেছি। সেজন্য আমাকে তোমরা কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছ! যদি আরও দুইটা থাপ্পড় মারতাম, তাহলে তো তোমরা আমাকে পালকিতে করে নিয়ে যেতে।’ এই কথা বলার সাথে সাথে সিপাহীরা হিরাকে শূন্যের উপর থেকে ধপাস্ করে নিচে ফেলে দিয়ে বলে, ‘বেটার সাহস কত বড়? দুইটা থাপ্পড় মারলে নাকি আমারা পালকি করে নিতাম! চল বেটা, হেঁটে চল!’ হিরা তখন মাটিতে বসে বসে মা-গো, বাবা-গে বলে চিল্লাচ্ছে, আর বলছে, ‘ভাই তোমরা তো আমাকে উপর থেকে ফেলে আমার কোমরটা ভেঙে দিলে। এখন আর আমার হাঁটার শক্তি নাই। আমি এখানেই বসলাম, তোমরা তোমাদের রাজাকে এখানে আসতে বলো!’ হিরার কথা শুনে সিপাহীরা বলছে, ‘কি মুশকিলে না পড়লাম রে ভাই! এই ধর ধর শালাকে। ওকে কোলে করেই নিতে হবে।’ এই বলেই চার পাঁচজন সিপাহী হিরা’কে আবার কাঁধে করে রাজদরবারে নিয়ে যেতে লাগলো।
তিন পয়সার তিনটি সদাই–এখন তখন এখনো না তখনো না?-২
চলবে…
হিরা'র কীর্তি পড়লাম। যদিও প্রথম অধ্যায়। আশা করি ধারাবাহিকটি পাঠকপ্রিয় হবে।
ক্যাম্বাচারদের মুখে শোনা লোকমান হেকিমের এক গল্পের মতো এটা পাঠকপ্রিয় হবে বলে আমারও বিশ্বাস। তাই সেইভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি সাথে থেকে অনুপ্রেরণা যোগাবেন। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমিও আপনাদের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। আশা করি সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
রাজার মুখে কটু কথা, ব্যক্তিত্বের সাথে যায়না। শেষ অব্দি না পড়লে বুঝতে পারছিনা, তবে শেষ পর্যন্ত যৌক্তিক না হলে; গল্পের বিষয়-বস্তু আরোপিত মনে হতে পারে। নিশ্চয় শেষপর্যন্ত গল্পটা বিচক্ষণতার সাথে শেষ করবেন।
চেষ্টা করবো শ্রদ্ধেয় দাদা। যাতে পাঠাক পড়ে খুশি হয়। আশা করি সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দাদা।
বিশ্বাস করি এই গল্পটিও বাজীমাৎ করবে নিতাই দা। অগ্রীম শুভকামনা।
আমিও এই আশাই করছি, শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি। প্রতিটি পর্বে আপনাদের উপস্থিতি কামনা করছি। আশা করি সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
হিরা বড় হয়ে উঠলো। স্কুলেও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে হিরা হিরার মতোই ছিল। এভাবে একসময় মেট্রিক পাস করে ফেললো। কলেজে ভর্তি হলো। সুন্দর মিশ্রণ।
আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।
দৈনিক পরিশ্রম শেষে আপনার লিখাটি যখন পড়লাম মনে মনে ফ্রেশ অনুভব করলাম।
আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
মন ভালো করার মতো করে লিখুন যাতে মনটা ভালো হয়ে যায়।
চেষ্টা তো করি, শ্রদ্ধেয় কবি দিদি। কিন্তু পারি না তো! তবে এই গল্পটা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমি শেষ করতে চাই। যাতে পাঠক সহ আপনাদের সকলের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়ে পারি। তাই আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
সিডনিতে অনেক রাত এখন। আজ উপস্থিতি জানালাম। মন দিয়ে পড়বো।
সময় করে পড়ে নেওয়া জন্য অনুরোধ রইল। আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ দিবেন।
* চলুক, ধারাবাহিক….
হ্যাঁ, শ্রদ্ধেয় কবি দাদা। গল্পটা অন্তত ৪থেকে ৫ পর্ব পর্যন্ত চলবে। আশা করি গল্পের শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিবেন।
হিরা৷ হিরো হবে এই আশাবাদী
হিরা অবশ্যই হিরো'র ভুমিকা নিয়ে হিরো বনে যাবে বলে আশা করি। আরও আশা করি সাথে থেলে গল্পটা পুরোপুরি উপভোগ করবেন। শুভকামনা থাকলো।