শীতলক্ষ্যার মরণব্যাধি

92915_o

শীতলক্ষ্যার মরণব্যাধি দেখতে যদি চাও,
সবাই মিলে বন্দর থানাধীন চৌরপরা যাও!
দেখবে সেথা শীতলক্ষায় পঁচা পানির ঢেউ,
নদী আজ হয়েছে খাল দেখে না যে কেউ।

পানির গন্ধে পাখি কাঁদে, কাঁদে নগরবাসী,
পঁচা গন্ধে কেড়ে নিলো সবার মুখের হাসি।
কলসি নিয়ে আসে না কেউ নদীর পানি নিতে,
কৃষককেও দেখিনা আর জমিতে পানি দিতে।

নদীর পানি আগে ছিলো ঝকঝকা পরিস্কার,
এখন দেখবে শীতলক্ষ্যায় ময়লার আবিস্কার।
বিশ্বাস যদি নাহয় কারোর দেখো সামনে এসে,
নদীর সামনে এসে দেখবে ময়লা আবর্জনা ভাসে।

নদীর পাড়ে উড়ে না আর মাছরাঙা, বক, কাক,
তাইনা দেখে রাষ্ট্র বলে, যাক– সব গোল্লায় যাক!
নদী মরছে আরও, তাতে কার কী আসে-যায়,
জনপ্রতিনিধিও বলে না কথা, থাকে স্বার্থের ধান্দায়!

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

5 thoughts on “শীতলক্ষ্যার মরণব্যাধি

  1. নদী মরছে আরও, তাতে কার কী আসে-যায়,
    জনপ্রতিনিধিও বলে না কথা, থাকে স্বার্থের ধান্দায়!

    আমাদের যাপিত জীবনে স্মৃতিময় বাস্তবতার নিঠুর একটি অধ্যায়। :(

    1. নদীমাতৃক বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী। কারণ, জীবন বাঁচানোর জন্য যেই নদীর পানি ছিল আমার ভরসা, সেই নদীর পানি হয়েছে আজ পানের অযোগ্য। 

      শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।