বাবা আমার বাবা,
তোমাকে ভালবাসার জন্য, তোমাকে কাছে পাবার জন্য, তোমাকে স্মরণ করার জন্যই আজকের এই “বিশ্ব বাবা দিবস”।
তুমি আমার জন্মদাতা। তুমি যদি বাবা জন্ম না দিতে, তবে তো এই সুন্দর পৃথিবীতে আমার আসা হতো না ৷ তুমিই বাবা আমার সৃষ্টির একমাত্র উৎস্য ৷ সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি করেছে শর্ত জুরে দিয়ে। সেই শর্ত মেনে সৃষ্টিকর্তার উপসনা করতে হবে। সদা সত্যকথা বলতে হবে। মানুষ হয়ে মানুষের উপকার করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর সৃষ্টিকর্তার শর্ত না মানলে আমি হয়ে যাই পাপিষ্ঠ! সেই পাপের হবে বিচার।
আর তুমি বাবা আমাকে জন্ম দিয়েছ নিঃশর্ত ভাবে। দিয়েছিলে শুধু উপদেশ। আমার জন্মের প্রতি তোমার কোন শর্তই ছিল না বাবা৷ তোমার কারণে আজ আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে জন্মেছি। এই সুন্দর পৃথিবীতে আসতে পেরেছি৷ সেই ছোট্ট শিশু থেকে এখন অনেক বড় হয়েছি। বর্তমানে কমবেশি সবই আছে আমার। শুধু তুমি নেই। তুমি নেই বলে আজ আমি বড়’ই এতিম বাবা।
তুমিতো ছিলে আমার বটবৃক্ষের ছায়া৷ সেই সুশীতল ছায়াতলে থাকতাম নির্বিঘ্নে নিরাপদে। এখন তুমি পরলোকে। তবু মনে হয় তুমি আছো ইহলোকে। আছো আমার অন্তরের মণিকোঠায়৷ দুচোখ বুঝলেই তোমায় দেখতে পাই আমার আমার মনের টেলিভিশনের পর্দায়৷ তোমাকে বাবা সব চাইতে বেশি মনে পড়ে তখন, যখন এই পৃথিবীর সব মানুষের বাবাকে ভালবাসার জন্য একটি দিবস পালন করে। সেই দিনটি পালিত হয় প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার। তোমাকেই স্মরণে রাখার জন্য এই দিবসটির নাম হয়, “বিশ্ব বাবা দিবস”৷
বাবা,
বছরের এই দিনে তোমায় ভীষণ মনে পড়ে। তোমাকে গভীরভাবে স্মরণ করি। এ শুধু আমি কেন বাবা ? এই পৃথিবীর সকল সন্তানেরা এই দিনটিকে তোমার মতো প্রিয় বাবার জন্য সব দিন থেকে আলাদা করে নিয়েছে৷ এই দিনটি হলো, জুন মাসের তৃতীয় রবিবার, “বিশ্ব বাবা দিবস” ২০২২ ইংরেজি।
বিশ্ব বাবা দিবসের ইতিহাস:
ইতিহাসে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয় ৷ আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথায়ও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে ১৯০৯ সালে। ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা তিনি একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে৷ সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়েও অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন৷ তখন উনার তার মনে হয়েছিল, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার৷
ডড আবার তার বাবাকে খুব ভালবাসেন৷ এর পর তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর অর্থাৎ, ১৯শে জুন ১৯১০ সাল থেকে “বাবা দিবস” পালন করা শুরু করেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন পিতৃ দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন৷
সেই থেকেই প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সারা বিশ্বে এই দিনটাকে “বিশ্ব বাবা দিবস” হিসাবে পালন করে আসছে৷ আমাদের বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় এই দিনটিকে পালন করা হয়৷ পৃথিবীর সকল মানুষের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমিও স্মরণ করি আমার জন্মদাতা বাবাকে।
পরিশেষে:
বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি অবিরাম ভালোবাসা ও ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে একটা কথাই বলবো যে, যাদের বাবা এবং মা এখনো জীবিত আছে, আপনারা বাবা এবং মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন৷ বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসা মানেই হলো, পরম করুণাময়ের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসা।
১৯/০৬/২০২২ইং, রবিবার। বিশ্ব বাবা দিবস।
তুমি বাবা আমাকে জন্ম দিয়েছ নিঃশর্ত ভাবে। দিয়েছিলে শুধু উপদেশ। আমার জন্মের প্রতি তোমার কোন শর্তই ছিল না বাবা৷ তোমার কারণে আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে জন্মেছি। এই সুন্দর পৃথিবীতে আসতে পেরেছি৷
পৃথিবীর সকল বাবা বেঁচে থাকুক, সব মানুষের অন্তরে।
বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি রইল অবিরাম ভালোবাসা ও ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা।
বাবার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা
দোয়া———কবি দা
পৃথিবীর সকল বাবা বেঁচে থাকুক, সব মানুষের অন্তরে।
বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি রইল অবিরাম ভালোবাসা ও ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা।
Respect
পৃথিবীর সকল বাবা বেঁচে থাকুক, সব মানুষের অন্তরে।
বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি রইল অবিরাম ভালোবাসা ও ভক্তিপূর্ণ শ্রদ্ধা।