অর্থ বিত্তে জীবন যখন ছিল অনেক সুখের,
চারিপাশে ছিলনা অভাব তোষামোদ করা লোকের।
বেদনাসিক্ত অন্তর আমার পুড়ে হয়েছে ছাই,
অসহনীয় সে যন্ত্রনা দেখার কেহ নাই।
যেদিন থেকে বার্ধক্য কাঁধে করেছে ভর,
বন্ধু বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষী সব হয়েছে পর।
দিনরাত্রি একত্র করে লালন করেছি যাদের,
একটি পলক চেয়ে দেখার সময় নেই আজ তাদের।
পরিচর্যার ফলবান গাছ আগাছা হয়েছে আজ,
তাইতো শুধু আমার বেলায় ব্যস্ততা আর কাজ।
সহযোগিতা চাইতে আসা প্রিয় বন্ধু গুলি,
সবাই একই পথের পথিক কেউ গিয়েছে চলি।
জীবন সাথী স্বার্থ নিয়ে গেছে পরবাসে,
একলা ফেলে নিঃস্ব আমায় শেষ বয়সে এসে।
বার্ধক্য যাঁতাকলে মারছে আমায় পীষে,
আমার কষ্টে জমানো টাকায় আমায় ওরা পোষে।
দোয়া করি সবার জন্য এমন যেন হয়,
বার্ধক্য ছোঁয়ার আগে মরণ ভাগ্যে রয়।
শেষ প্রান্তে ঘরের কোনে পড়ে আছে যারা,
বার্ধক্যই বলে দিচ্ছে তারা সর্বহারা।
সুন্দর উপস্থাপনা। কাব্যশৈলীতে মুগ্ধ ও অভিভূত হলাম।
কবিতার বিষয়বস্তু সুন্দর ও অসাধারণ। কাব্যিকতা ভালো।
সাথেই থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইলো।
জয়গুরু!
কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা জানাই শ্রদ্ধেয়। ভালো থাকুন। শুভ কামনা সব সময়।
দোয়া করি সবার জন্য এমন যেন হয়, বার্ধক্য ছোঁয়ার আগে মরণ ভাগ্যে রয়। সহমত।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মুরুব্বী।
বার্ধক্যে আমরা সবাই অসহায় এবং সর্বহারা। যদি স্থানটি হয় বৃদ্ধাশ্রম।
বার্ধক্যই সম্ভবত সর্বহারা এক জীবনের নাম।
দিনরাত্রি একত্র করে লালন করেছি যাদের,
একটি পলক চেয়ে দেখার সময় নেই আজ তাদের।
কখনও মনে হয়, অর্থকড়ি বার্ধক্যকেও জয় করতে পারে।
বার্ধক্যই সব সময় নয়, কখনও কখনও সর্বজন হারানোর বেদনা।
বার্ধক্য সময়টি ভীষণ রকমের অসহায় সময় মনে করি।