ঘর না হয় না-ই বাঁধবো- পাখিদের জন্য একটি ঘর বানাবো,
মস্ত একটা বাড়ি বানাবো চড়ুই টিয়া শালিখ ময়নার জন্য।
—
নিজস্ব কিছুই থাকবে না আমার-
যা কিছু আমার তার সবই হবে পাখিদের।
খেটে-খুঁটে বালিকা পড়িয়ে মাস শেষে যে পয়সা পাবো
তা দিয়ে পাখিদের জন্য কিনবো ধান গম কাউন,
আর তার বিনিময়ে পাখিরা যদি সন্তুষ্ট হয়ে
মাথা গুঁজবার একটা ঠাঁই দেয় তাদের
বাড়ির চিলেকোঠায়- তবেই আমি খুশি;
একা একা চিলেকোঠায় সমস্ত দিন
একা একা চিলেকোঠায় সমস্ত রাত
অনধিকার চর্চা করে শুনে নেব পাখিদের ব্যক্তিগত
আলাপন, ওদের ঘর সংসার সন্তান-সন্ততির খবরাখবর।
—
একদিন সন্ধ্যায় সব পাখি ঘরে ফিরবে ঘরের টানে
একদিন জ্যোৎস্নারাতে চিলেকোঠায় একাকিত্বে আমার মৃত্যু হবে
জানবে না কেউ, কেউ জানবে না- কেবল পাখিরা কানাকানি করবে…
3 thoughts on “চিলেকোঠায় মৃত্যু”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
চিলেকোঠায় মৃত্যু। নিঃসন্দেহে পরিপক্ক এবং নিখুঁত গাঁথুনির লিখা।
দ্বিতীয় প্রকাশনার অভিনন্দন মি. প্রবাল মালো।
একদিন সন্ধ্যায় সব পাখি ঘরে ফিরবে ঘরের টানে
একদিন জ্যোৎস্নারাতে চিলেকোঠায় একাকিত্বে আমার মৃত্যু হবে
জানবে না কেউ, কেউ জানবে না- কেবল পাখিরা কানাকানি করবে…
//অসাধারণ লিখেছেন কবি !