জ্যোৎস্নায় সারারাত গা ভিজিয়েও মুছতে
পারি না অপরাধ প্রবণতার ছাপ,
সত্যের মতো লেগে থাকে আমার
চোখে-মুখে পাতার ছায়া।
মাটিতে চোখ রেখে মাকে বলি- ‘আমি…
আমি ভালো আছি, মা। বিশ্বাস করো,
আজ কাউকে সকালের গল্প বলিনি;
বিশ্বাস করো মা, আমি ভালো আছি-
আমি সমুদ্র দেখেও কাঁদিনি।’
–
বাবার কপালের ভাজ আমি বুঝি
খাবার টেবিলে মায়ের নীরবতা আমি বুঝি
কিন্তু দুঃখীনি মা আমার- প্রজাপতি কেনো
বোঝে না সরলতার সত্য মূল্য?
আমি যদি আকাশকে ভালোবেসে
আরো একটু শুভ্রতার স্বপ্ন আঁকি,
বিলাসী প্রজাপতি মাথার রোদচশমা
চোখে নামিয়ে বলে- ‘সকালে নয়, দুপুরে নয়,
সন্ধ্যায় আমরা পেরিয়ে যাবো রেললাইন আর
শেখাবো উত্তরাধনিক মানবিক সম্পর্ক।’
3 thoughts on “উত্তরাধনিক প্রজাপতি”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
চমৎকারে হয়েছে
চমৎকার শব্দচয়ন ও উপমার বাবহারে অসাধারন পদ্যে শুভেচ্ছা জানবেন কবি !
আবৃতি উপযোগী লিখা। মনে মনে আবৃতি করে পড়লাম।
আমার কাছে ভালো লেগেছে কবি।