চশমায় বৃষ্টি

সারারাত বৃষ্টি ঘরের চালে টাপুর টুপুর-
যেন অভিমানী নর্তকীর নুপুরের শব্দ।
তুমি বলেছিলে- মেঘ ও বৃষ্টির
গোপন প্রণয়ের ইতিকথা
আর তাদেরই বিরহের আখ্যানভাগ।
সেই থেকে রাত জেগে জেগে
অভাগিনী বৃষ্টির কান্না শুনি-
নিজেরই বুকের ভেতর,
সে কাঁদে, সে অভিমান করে, সে হাসে,
নিজেরই বুকের ভেতর।
.
বৃষ্টি হলে সারারাত মেঘ ঘুমিয়ে থাকে
অবুঝ শিশুটির মতো,
বৃষ্টি হলে সারারাত শুধু আমি জেগে থাকি
চশমায় নিয়ে দু’ফোটা বৃষ্টি।

প্রবাল মালো সম্পর্কে

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা, ক্লান্ত আমি- নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো। কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু, জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না, প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের, প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া, মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ, নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে? তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো, সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়; তবু কেন মানুষ নয়!

4 thoughts on “চশমায় বৃষ্টি

  1. “বৃষ্টি হলে সারারাত মেঘ ঘুমিয়ে থাকে
    অবুঝ শিশুটির মতো,
    বৃষ্টি হলে সারারাত শুধু আমি জেগে থাকি
    চশমায় নিয়ে দু’ফোটা বৃষ্টি।”

    আপনার লেখা যতোই পড়ছি ততই ভালো লাগা করতেছে । শুভকামনা আপনার জন্য

  2. অসাধারণ সুন্দর একটি প্রয়াস। আমার কাছে ভালো লেগেছে কবি। শুভেচ্ছা রইলো।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।