হে জীবন
হে জীবন
মিছিমিছি তুমি লজ্জা পাও
ভাব অসহায়, একা তো নও;
বন্ধু বান্ধব নেই তিনি তো আছেন
শ্বাস প্রশ্বাসে অস্তিত্ব তাঁর সে আজীবন
যখনই নির্জনে চলে কত না কথোপকথন।
যে স্পন্দন
সহসা বাজছে যায় নি থেমে
ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সবই হৃদয় ভূমে;
নিথর আত্মা তবুও তো স্বপ্ন ডোরে
দৃষ্টি নেই, নেই হাত পা সে বাঁচায় তারে
মিথ্যাকে করছো না তুমি কখনো আলিঙ্গন।
হে জীবন
মিছিমিছি তুমি লজ্জা পাও
দুঃখ কষ্ট সব আদরে বেঁধে নাও
ঝাঁপিয়ে পড়ো উতাল ঐ রণ সাগরে
পৌঁছবে নিশ্চিত তিনি অপেক্ষায় ওপারে
কেন লজ্জা, মাটিতেই তো সবার নির্বাসন।
যে পাথর
কেঁদে মরে পাহাড়ের বুকে
ফুলের জন্ম-শক্তি দেয়া হয় তাকে;
যে শিমুল গর্বিত তার রক্ত লাল ফুলে
তুলো হয়ে উড়ে শেষে বাতাসের কোলে
রাজারও কই সে প্রাসাদ, না একখানি ঘর।
“হে জীবন
মিছিমিছি তুমি লজ্জা পাও
ভাব অসহায়, একা তো নও;
বন্ধু বান্ধব নেই তিনি তো আছেন
শ্বাস প্রশ্বাসে অস্তিত্ব তাঁর সে আজীবন
যখনই নির্জনে চলে কত না কথোপকথন।”
লিখার ধরন এবং লিখা উপস্থাপন এককথায় অনবদ্য। এবং সুন্দর।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইলো।