একদিন সিগারেটে চুমুক দিয়েই মারা যাব।
লাল সবুজ সিগন্যাল হাতে দাঁড়ানো লাইন্সম্যান
বেবাক অবাক হয়ে হাত নাড়তে
ভুলে গেলে ছুটতে থাকা ট্রেন ধাঁধায় উধাও।
দুটো ডিম আর পাঁউরুটির মাঝে
ব্ল্যাককফি আর ধোঁয়ায় জারানো হারানো সময়
বাকিসব বর্ণহীন শূন্য।
ফেলে আসা যত ধোঁয়া
ধোঁয়া কাজ, ধোঁয়া কথা, ধোঁয়া প্রতিশ্রুতি
রাতের অন্ধকারে সমুদ্র উপকূলে
ধোঁয়া লাভ ধোঁয়া লোকসান
তাবৎ পেটোবৃষ্টির মধ্যেই
বুক চিতিয়ে ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট ঝুলিয়ে
হাঁক দেব, ‘এই শালা শুয়োরের বাচ্চা!
কলেজ ক্যান্টিনের ছেড়ে দেওয়া ধোঁয়ায়
পানপাতা এঁকে পর্ণমোচী গাছের নীচে
হেঁটে যাওয়া একলা সুন্দর মুখকেই
কোনোদিন না বলার পাপস্খালন
করতে বলবই, ‘শোনো সপাটে চুমু খেতে পারি
তোমাকেই, শুধু তোমাকেই।’
বাঁশ দিয়ে পেটানোর ঠিক আগের মূহুর্তে
দাউদাউ চিতায় উঠে বসে মদে চুর
ডোমের লালায় ভেজানো আধখানা
বিড়ি চেয়ে নিয়ে শেষ সুখটান দেব,
তারপর … আকাশে শুধুই উড়ন্ত চিল
আর ধোঁয়া।
গতানুগতিক যেমন কবিতা তুমি লিখো তার বাইরে একদম আলাদা ভাবনা।
গ্রেট প্রিয় কবি সৌমিত্র। চালিয়ে যাও দাদাভাই।