শক্তি নেই এক কণা
কি ভাগ্য তাদের, দ্যাখো ঐ সে বৃক্ষদল
ফুটায় কত পুষ্প কখনো
কখনো ফলেতে ভরা যেন
অন্তরে না জ্বালা, চোখে এক ফোটা জল।
কখনো ছড়ায় তারা সুগন্ধ সুবাস
বিচিত্র সাজে করে মাতাল
ফুলের হাসিতে হয় সকাল
আমরা? না ফুটি, ফুটাই, শুধু দীর্ঘশ্বাস।
কি সুন্দর সবুজে মাখা পল্লব হাসি
দোলে ঝির ঝির ঐ বাতাসে
আমরা? ভাসি মিছিলের বিষে
কাটাকাটি কাড়াকাড়ি ভাগ্যের অন্বেষী।
না গ্রীষ্ম বর্ষায়, অতিষ্ঠ ওরা দাবদাহে
চুপচাপ যদিও বা বিবর্ণ
বসন্তে সেজেও সে আকর্ণ
আনন্দে খায় দোল, নীরবে কষ্ট সহে।
মানুষ হয়ে সাজাতে পারি না পৃথিবী
পারি না থামাতে কারো কান্না
অথচ শক্তি নেই এক কণা
তবুও করে দান দেহ কঙ্কাল সবি।
‘না গ্রীষ্ম বর্ষায়, অতিষ্ঠ ওরা দাবদাহে
চুপচাপ যদিও বা বিবর্ণ
বসন্তে সেজেও সে আকর্ণ
আনন্দে খায় দোল, নীরবে কষ্ট সহে।’
তবুও যেন “শক্তি নেই এক কণা”। কখনও কখনও এমন অনুভব সবারই হয় কবি।