সতত তুমি পাশে থেকো
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
এবার পেলাম তোমায় বৃষ্টি মুখর বেশে;
পেঁজা পেঁজা মেঘগুলো রয় আকাশে ভেসে
ঝলমলে দিনও ফিঁকে হয় কুয়াশার মলিন পরশে।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
তুমি এলে কষ্টের ক্ষণ ছোট হয়ে আসে
দ্রুত সন্ধ্যা হয় যন্ত্রণা পালিয়ে আঁধারে মিশে
নির্মম শীতও কষ্ট দিতে ভয় পায় তুমি যদি পাশে।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
রোদ হয় আড়াল শহরের দালান কোঠায়
হেলে পড়ে রবি স্নিগ্ধ আলো পড়ে ধরণীর গায়
মায়াবী আলোরা মিশে যায় যেন নিসর্গের ছায়ায়।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
দুরন্ত অনুভব জেগে উঠে হৃদয় কোণে
মধুময় ভালো লাগা যেন ঢেউ খেলে মনে
তুলোর মত শুভ্র মিহি কেশর ঝরে যেন কাশবনে।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
বৃষ্টি ও বন্যায় কৃষাণের বেজার মুখখান
হাসিতে ভরে যেই দ্যাখে মাঠে পাকা ধান
শান্তির স্রোতে ভাসে প্রাণ, ভুলে অতীত অভিমান।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
প্রাতে দলবেঁধে যখন নেমে আসে শিশির
ঘাসের ডগায় দ্যাখি যেন মতি সোনার ভিড়
হাঁটি মেঠোপথে ভিজাও পা দু’টো লাগে শিরশির।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
নগর বন্দরে বা গলির মোড়ে মোড়ে
ভরে যায় অল্পপুঁজির ফেড়িওয়াদের ভিড়ে
চালের গুঁড়িতে নানান পিঠা তখনই চোখে পড়ে।
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
তোমার তুলিতে আঁক অপূর্ব ছবি কত
ফুটে উঠে গাঁদা কলি, সাজাও মনের মত
লাবণ্য ছোঁয়ায় প্রকৃতি কি সুন্দর দেখায়, বিস্মিত।
'সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত
তোমার তুলিতে আঁক অপূর্ব ছবি কত
ফুটে উঠে গাঁদা কলি, সাজাও মনের মত
লাবণ্য ছোঁয়ায় প্রকৃতি কি সুন্দর দেখায়, বিস্মিত।'
সতত তুমি পাশে থেকো হে হেমন্ত। চমৎকার বোধনের একটি কবিতা নিঃসন্দেহে।
প্রণাম কবি দা।