তুমি আমার একান্ত আপন
সেই রক্তবন্ধন,যেদিন থেকে হল ছিন্ন
সোহাগের সেই বন্ধন
তাই এসেছিল ক্রন্দন
হলেম এই ভুবনের, এক হিস্যা অভিন্ন।
পাখীর সে কলরবে, পশুর শঙ্খধ্বনিতে
ভুবনে মোরে, করে বরন
বায়ু দিয়ে, ধরে এ জীবন
আলোয় ভরিয়ে দিলে, সুরুজের সে হাসিতে।
সবুজ শ্যামলে, চারিদিকে ফসলের মাঠ
মাঠে হালচাষ দেখি
মিলেমিশে কাজ শিখি
শিশির সিক্ত ঘাস দেখে, হয় যে প্রেম পাঠ।
বৃক্ষরাজিতে ছায়া আর ফলমূলে আহার
মিটালে তৃষ্ণা ডাবজলে
চোখের তৃষ্ণা কত ফুলে
ফুল ও ভ্রমরের গুঞ্জনে, হই সুরকার।
ঐ দূরে দেখি, মেঘের খেলা নীল সে আকাশে,
শিখেছি তাই কত খেলা
এখন তো গেল যে বেলা
তমসে ডাকে ঘুমোতে, রূপোর সে শশী হেসে।
কি কথা দিয়েছিলে মাকে, বল হে ভুবন
কেন মোরে এতসব দিয়ে
জীবনটা দিলে যে ভরিয়ে,
ভুবন বলে, তুমি আমার একান্ত আপন।
হৃদয়কাড়া লেখা পড়লাম। খুউব ভাল লিখেছেন।
বরাবরই স্বীকার করি … শব্দ মিলের লিখা আমার কাছে অসাধারণ লাগে।
এই লিখাটিও তেমনি। অভিনন্দন মি. সাইদুর রহমান।
এখন তো গেল যে বেলা
তমসে ডাকে ঘুমোতে, রূপোর সে শশী হেসে।