(বাবাকে উৎসর্গ – পিতৃ দিবসে)
এলাম তো এলাম, সেই বৃত্তি পেয়ে
সোনার দেশ ছেড়ে আজ বহুদিন;
স্বপ্ন দেখি, বসে আছ সে পথ চেয়ে
বার্ধক্যে তোমাকে দেখিনি কোনদিন।
মনে পড়ে, তোমার হাতখানি ধরে
গিয়েছিলাম,সেই যে প্রথম স্কুলে;
আমার ব্যাগ তোমার কাঁধের ‘পরে
পথে হলো বায়না,বাঁশী দেবে বলে।
কত বার হয়েছিল আমার জ্বর
অসুস্থ সে আমি, দেখেছি ক্লান্ত তুমি;
জল দিয়েছিলে মাথায় রাত ভর
আর বড়ো স্বস্তিতে ঘুমিয়েছি আমি।
বিদায় বেলায় সে বিমান বন্দরে
দেখেছিলাম তব অশ্রু ভেজা চোখ;
সবই পেয়েছি তবু কাঁদি অঝোরে
পারিনি দিতে তোমাকে একটু সুখ।
হয়েছি বড় তুমি চেয়েছিলে যত
না দেখে তা, অভিমানে লুকিয়ে গেলে;
কপালে চুমু, তোমার আশীষ শত
পারিনি নিতে ভাসি তাই অশ্রুজলে।
দেখ আজ তোমার শিয়রের পাশে
সে আসামীর মত কাঁপছি দাঁড়িয়ে;
মানে মুখখানিও দেখালে না শেষে
কত না প্রতীক্ষা শেষে গেলে ঘুমিয়ে।
তুমি ছিলে কেমন:
এতই মমতা, এতই নির্ভরতা
এ পৃথিবী জুড়ে মিলে নাক এমন;
পিতৃ প্রেমে নেই যে কোন কুটিলতা
শুধু নির্মলতা, এ মৃত্তিকা যেমন।
অভিনন্দন কবি ভাই। বাবা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে।
এতই মমতা, এতই নির্ভরতা, এ পৃথিবী জুড়ে মিলে নাক এমন;
পিতৃ প্রেমে নেই যে কোন কুটিলতা, শুধু নির্মলতা, এ মৃত্তিকা যেমন। গুড জব স্যার।
লিখাটি পড়ে আমার প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়লো সাইদুর ভাই।
অনেক ভালোবাসা কবি সাইদুর রহমান ভাই।
মনে পড়ে, তোমার হাতখানি ধরে
গিয়েছিলাম, সেই যে প্রথম স্কুলে;
আমার ব্যাগ তোমার কাঁধের ‘পরে
পথে হলো বায়না, বাঁশী দেবে বলে।
সব মনে পড়ে প্রিয় কবি দা। বাবা ভাল থাকুক।
অনেক বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই কবি ও কবিতা