চালাক হবার প্রয়োজন নেই, সততার প্রয়োজন

… আমার যতো বিত্ত প্রভু,
আমার যতো বাণী …

দোবো তো তোকে, কিন্তু কি দোবো বাবা? উত্তরপুরুষের মুখোমুখি হয়ে থতমত খেয়ে যেতে হয়। ওদের চাহিদা বুঝিনা তো বটেই, কিন্তু নিজের ভাঁড়ারে কি আছে, সেটাও কি ছাই জানি আমি!!

সবাই একমত হবেন কিনা জানিনা, কারন মানুষের মূল্যবোধ তো এদান্তি খুবই বদলে বদলে গেছে, যেটা বলতে চাইছি সেটা এই যে, মানুষকে নিজে হাতে তার ফলানো ফসলের পুরোপুরি স্বাদ বাধ্যতায় গ্রহন করে যেতেই হয়। চাক, বা না চাক, এড়িয়ে যাবার বাগ নেই। ভাবি হয়তো, গর্তটা খুঁড়ে রাখলাম শত্তুরের জন্য, আলটিমেটলি দেখা যায় আমার নিজের হাতে খোঁড়া গর্তটি চারিত্রিক ভাবে চরম নৈর্ব্যক্তিক হওয়া স্বত্বেও, কিভাবে যেন অভাবনীয় ভাবে ফেভার করে আমাকেই,ঝাড়- গুষ্ঠি – বংশ সমেত। অতি চালাক আমি সচেতন সতর্কতায় বারংবার গর্তটি এড়িয়ে এড়িয়ে যেতে সক্ষম কপালজোরে যদিবা হয়ে গেলুম, মহাকালের কারুকার্যে পরম নিশ্চিন্ততায় তা তোলা হয়ে রয়ে গেল পরবর্তী বংশধরদের ভোগান্তির তালিকায়।

হুট করে যখন সম্পূর্ণ নিষ্পাপ নাবালক বংশধরের কচি করতলে সুদ সমেত বিষফল ঝুপ করে এসে পড়ে, তখন তিনকালধরে পাপ জমানো পাকামাথা শয়তান আমি কুকর্মবাহী ঘাড়খানি এধার ওধার নাড়াতে থাকি, ও অদৃশ্য ভগবানকে গাল পাড়ি। শয়তানও তো ক্ষমতার দিক দিয়ে প্রায় ভগবানের কাছাকাছিই, দিব্য নিজেকে কালপ্রিট রূপে অদৃশ্য রাখতে পেরে যাই। আমার ছানাবড়া চোখের সামনে প্রাণপ্রিয় সন্তান সন্ততির মরন তড়পানি দেখে যাওয়া ছাড়া, তখন আর কোন গত্যন্তর থাকেনা। তখন, সত্যি বড়ো দেরি হয়ে গেছে। ঈশ্বরেরও সাধ্য নেই, যে কালের চাকাটা উল্টোপানে ঘুরিয়ে দেবেন। তাঁকেও ন্যাচারাল জাস্টিস মেনে চলতে হয়। আলটিমেটলি নেচার উইল টেক ইটস্ ওন কোর্স।

তাই সস্তা হাততালিতে কাজ নেই। টুকরো মিথ্যে দিয়ে আপাতদামী নিরাপত্তা, প্রশংসা,সামাজিক সম্মান নিশ্ছিদ্র করে কাজ নেই, সবচেয়ে বড়ো পাপ নিজস্বার্থে কারো চরিত্রহানী করে পাড়ে উঠে তো গেলাম, পরের কথা পরে ভাবা যাবে, এই এ্যটিচ্যুড এক্ষুনি ত্যাগ করা প্রয়োজন। কারন, তার আর পর নেই…। নাক পর্যন্ত জল উঠে গেলে হালে পানি পাবোনা যে তা নিশ্চিত্।

তবে মানুষ যখন, ভুল করে ফেলতে পারি। সেটা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবনেই সব কষ্ট স্বীকার করে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি নিজে শোধ করে দিয়ে যাবো, অন্যের ঘাড়ে মিথ্যা অপরাধ দিয়ে পার পেতে চাইলে তা পরবর্তীতে নিজের নিরপরাধ উত্তরপুরুষের ঘাড়ে অন্যায় ঋণভার চাপিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে। পাপ তার বাপকেও ছাড়েনা। একটা একটা করে গুনে গুনে শোধ হবে স- ব ঋণ বংশ পরম্পরায়। একের অপরাধে অন্যের শাস্তি।…

এভাবেই বুঝিয়ে বলতেন আমাদের নমস্যা গৌরীদি। আরো আরো উদাহরন সহযোগে, আরো প্রাঞ্জল, আরো মনোগ্রাহী করে। আমি তো ধারেকাছেও পৌঁছতে পারলাম না। স্মৃতি থেকে অক্ষম উদ্ধারের চেষ্টামাত্র :

মানুষ তার উত্তরপুরুষের জন্যে গাড়ি- বাড়ি- ধনদৌলত রেখে যাবার কামনায় যে বদগুন তার জিনের মাধ্যমে পরিবাহিত করে দিয়ে যায়, সেটা অপকর্মের মধ্যে পরিগনিত হয়। বরং পূর্বপুরুষ হিসেবে বংশ পরম্পরায় সৎসংস্কার, শুদ্ধচিন্তা ও পুন্যকর্মের মাধ্যমে জিনবাহিত হয়ে উত্তরপুরুষের অধিকারে আসুক, সেই তার প্রকৃত সম্পদ যা অমূল্য, টাকা দিয়ে যা সাতজন্মেও কিনতে পারা যাবেনা।

চালাক হবার প্রয়োজন নেই, সততার প্রয়োজন।

10 thoughts on “চালাক হবার প্রয়োজন নেই, সততার প্রয়োজন

  1. চালাক হবার প্রয়োজন নেই, সততার প্রয়োজন। ___ সর্বৈব সত্য প্রিয় বন্ধু। শুভ সকাল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. মানুষকে নিজে হাতে তার ফলানো ফসলের পুরোপুরি স্বাদ বাধ্যতায় গ্রহন করে যেতেই হয়। চাক, বা না চাক, এড়িয়ে যাবার বাগ নেই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    আলটিমেটলি নেচার উইল টেক ইটস্ ওন কোর্স। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    তবে মানুষ যখন, ভুল করে ফেলতে পারি। সেটা বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবনেই সব কষ্ট স্বীকার করে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি নিজে শোধ করে দিয়ে যাবো, https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।