বসন্তের আলোয় ঝলমল করে
উঠছে পাহাড়ি নদী।
চুপচাপ গাছের আড়ালে ফিসফাস শব্দ,
আলব্রাট্রাসরা তাদের আস্তানা ছেড়ে
উড়ে গিয়েছিল সুদুর দক্ষিনে,
একটু উষ্ণতার খোঁজে।
ব্যাস্ত তারা নিজ নিজ ঘরে ফেরার জন্য।
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরে
রাতে ঘরে ফেরে শিশুটির মা,
অবসন্ন তার শরীর।
উনুনে ফুটছে ভাত আর আলু সেদ্ধ,
রাতের বিছানায় জোর করে
প্রেমের উষ্ণতায় ভেঙে পড়ছে শরীর।
এই ভূতগ্রস্ত জীবনের অন্ধকার
কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা –
অঙ্কের কোন সংখ্যা দিয়েই বিচার করা যাবেনা।
সকালে শিশুটি দুহাত মেলে দেয় মায়ের দিকে,
অস্ফুট শব্দে ডাগর চোখে মাকে দেখে
আজ সে কিছুতেই যেন ছাড়বেনা, তবুও
নিবিড় আলিঙ্গন থেকে ছেলেকে নামিয়ে
চলে যায় তার কাজে।
রাতে ফেরার পথে পথ আটকায় চারজন পুরুষ,
জোর করে বিবস্ত্রা করে তাকে লুঠ করে তার অবশিষ্ট লজ্জা।
পথের ধারে পরে রইলো নিথর দেহ
প্রাণ ছেড়ে গেছে বিষাদলোক।
আচ্ছা কবরের আড়ালে
কফিনে গিয়ে পৌঁছোবে তো
বসন্তের এইসব আলো!
এই ভূতগ্রস্ত জীবনের অন্ধকার
কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা –
অঙ্কের কোন সংখ্যা দিয়েই বিচার করা যাবেনা।
লিখায় বক্তব্যের গাম্ভীর্যতা অনুধাবন করলে তথাকথিত পুরুষদের জন্য মাথা হেঁট হয়।
শুভেচ্ছা অফুরান বন্ধু
অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে..
শুভকামনা থাকলো।
শুভকামনা আপনার জন্য
প্রথমে বলে রাখি আপনার লেখনি শক্তি আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি তাদের চেয়ে অনেক উচুতে। এই কবিতাটি আমার বক্তব্যকে সত্যি প্রমানিত করছে নিশ্চয়ই।
ভাবছেন এভাবে কেন বলছি? কারণ একটা আছে, ইদানিং আমার বাজে একটা অভ্যাস হয়েছে অন্যের সমালোচনা করা। আর দিনে দিনে আমার সাহস একটু বেড়ে গেছে।
সারা কবিতাটি নিয়ে কোন কথা নয়। অসাধারণ। শধু শেষ প্যারাটা
আচ্ছা কবরের আড়ালে
কফিনে গিয়ে পৌঁছোবে তো
বসন্তের এইসব আলো!
আচ্ছা শব্দটি বাদ দিলেইতো দারুন হয়। হয় না কি?
আমি কয়েকবার পড়েছি আপনার কবিতাটি। আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
ভীষণ সম্মানীত বোধ করলাম আপনার মন্তব্যে .. সমালোচনায় সবসময়ই শিরোধার্য .. নিশ্চয়ই ভেবে দেখবো আপনার কথা শেষের লাইনগুলো যদি পরিবর্তন করা যায় .. শুভেচ্ছা নেবেন ..
নিজের সংসারের কথাই আপনার কবিতায় খুঁজে পেলাম, শ্রদ্ধেয় কবি রিয়া দিদি। ওঁর শরীরটা বেশি ভালো নেই! কখন যে কী হয়ে যায়!
আপনার জন্য শুভকামনা কবি দা। ভাল থাকুন দিবানিশি।
যথেষ্ঠ ভালো লিখেছেন কবি রিয়া রিয়া চক্রবর্তী।
শুভেচ্ছা কবি সুমন দা।
আমাদের জীবন কথা।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা কবি দিদি ভাই।
বুঝিনা যুদ্ধ আমাদের জীবনের সাথে নাকি সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে?
দুটোই প্রিয় কবি দিদি ভাই।
এই ভূতগ্রস্ত জীবনের অন্ধকার
কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা –
অঙ্কের কোন সংখ্যা দিয়েই বিচার করা যাবেনা।
* কবিতায় ভাবের গভীরতায় নিয়মিত বিমোহিত হই….


অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় কবি দা।
খুব সুন্দর কবিতা
শুভেচ্ছা নিন প্রিয় কবি দা।
শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ দিদি ভাই।
ভীষণ দামি বিষয়বস্তু এবং অসাধারণ চিত্রকল্প দিদি। অপার মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম!
আপনার মন্তব্যে আমারও মুগ্ধতা প্রিয় মিড দা।
কবিতার ক্যানভাসে আঁকা জীবনের প্রতিচ্ছবি। অসম্ভব ভালো লেগেছে প্রিয় রিয়া দি। অভিনন্দন।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা।