আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উপলক্ষে প্রথমেই মনে পড়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কবিতার কয়েকটি চরণ। কবি পরিবেশ-প্রতিবেশ বিনষ্টকারী মানুষের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৃতির কাছে অনুযোগ করেছিলেন—
‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু,
নিভাইছে তব আলো
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ,
তুমি কি বেসেছ ভাল?’
কবির এই উচ্চারণের বহু বছর পর যখন সারাবিশ্বের পরিবেশ-প্রতিবেশ মানুষের বহুমুখী অনাচার-অত্যাচারে বিপন্ন, তখন দেখা যাচ্ছে প্রকৃতি মানুষকে ক্ষমা করেনি। যেন অনেকটা বাধ্য হয়েই গুটিয়ে নিয়েছে তার শুশ্রূষার হাত।
মানুষের অবিমৃষ্যকারিতায় প্রকৃতির রুদ্ররোষের সম্মুখীন। এখানকার নিবিড় বনভূমি উজাড় হয়েছে, নদীর দেশ তথা নদীমাতৃক দেশে নদী মরে যাচ্ছে, ভরাট হচ্ছে। অধিকাংশ পরিণত হয়েছে বিষাক্ত ভাগাড়ে। বিপন্ন পরিবেশে ধেয়ে আসছে আরেক বিপদ। সাম্প্রতিককালে ভূকম্পনের মাত্রা বেড়েছে ।
এগিয়ে আসতে হবে পরিবেশ রক্ষায় তথা পৃথিবী রক্ষায়। যার যতটুকু সাধ্য ততটুকু দিয়েই চেষ্টা করি পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য রাখার। আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে এমন অনেক বিষয়ই রয়েছে। যেমন-
১) গাছপালা নিধন না করা আর অন্যকে নিধনে নিরুৎসাহিত করা এবং নিজে বেশি করে গাছ লাগানো আর অন্যকে গাছ লাগানোতে উৎসাহিত করা।
২) গাড়ীর ক্ষতিকর কালো ধোয়া বন্ধ রাখার চেষ্ঠা করা এবং অন্যকে এ ব্যাপারে সচেতন করা।
৩) ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলা।
এরকম আরও অনেক বিষয় যা পরিবেশ, পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর সেগুলো বন্ধ করি বা বন্ধ করার জন্য জনগণকে সচেতন করি। আমরাই পারি পৃথিবীর বুক থেকে উপড়ে নেওয়ার পরিবর্তে, গাছ লাগিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে।
আমরাই পারি পৃথিবীর বুক থেকে উপড়ে নেওয়ার পরিবর্তে,
গাছ লাগিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে।
___ দ্বিমত নেই। আমরা যেমন ধ্বংস করতে জানি; পরিবর্তনও করতে পারি।
কবি গুরুর কথায় বলতে চাই “দাউ ফিরিয়ে সে অরণ্য, লও এ নগর !”
*শুভ কামনা কবি !
চলুন, আমরা সুন্দর রাখি পরিবেশ
বিশুদ্ধতায় ভরে উঠুক পুরো বাংলাদেশ।
** আমাদের পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে…